
চার বন্ধু এক বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে একসঙ্গে পড়েছেন। তাদের সেই বন্ধুত্বের বন্ধন এবার পৌঁছাল আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার শিখরে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের একই ব্যাচের চার শিক্ষার্থী শহিদুজ্জামান সেলিম, মোছা. তামান্না সুলতানা সুমি, রিফাত মিয়া এবং নিলীমা রহমান চীনের তিনটি ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপে মাস্টার্সে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
অ্যাকাডেমিক কৃতিত্বে তারা প্রত্যেকেই অসাধারণ। চারজনের মধ্যে সেলিম ও তামান্না- দু’জনেরই অনার্স সিজিপিএ ৩.৯৪। রিফাতের ৩.৯১ ও নিলীমার ৩.৮৩। তারা সবাই আগামী সেপ্টেম্বর মাসে চীনে পাড়ি জমাবেন। সেলিম ‘চাইনিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ’, তামান্না ও নিলীমা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড স্কলারশিপ’ এবং রিফাত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট স্কলারশীপ’ পেয়েছেন।
চারজনের মধ্যে সেলিম ও তামান্না- দু’জনেরই অনার্স সিজিপিএ ৩.৯৪। রিফাতের ৩.৯১ ও নিলীমার ৩.৮৩। তারা সবাই আগামী সেপ্টেম্বর মাসে চীনে পাড়ি জমাবেন। সেলিম ‘চাইনিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ’, তামান্না ও নিলীমা ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড স্কলারশিপ’ এবং রিফাত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট স্কলারশীপ’ পেয়েছেন।
তাদের এ সাফল্যে খুশি বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষকরাও। শহিদুজ্জামান সেলিম ও তামান্না সুলতানা সুমি ‘শি’আন জিয়াওটং বিশ্ববিদ্যালয়ে’ (এপ্লাইড ইকোনমিকস), রিফাত মিয়া ‘চেংডু ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজি’ (ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস) নীলিমা ‘চ্যাংগান ইউনিভার্সিটিতে’ ( বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন) সুযোগ পেয়েছেন।
শহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এ আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ প্রাপ্তি আমার অ্যাকাডেমিক জীবনের অন্যতম মাইলফলক, যা শুধু আমার জন্য নয় বরং দেশের প্রতিনিধিত্ব করার দারুণ এক সুযোগ। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই মহান আল্লাহর প্রতি। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাই, আমার পরিবার, শিক্ষক, মেন্টর, সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের, যাঁদের প্রেরণা ও সহযোগিতা আমাকে এই পর্যায়ে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এ অভিজ্ঞতা ও উচ্চতর শিক্ষা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নীতিনির্ধারণী গবেষণা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাস্তবসম্মত অবদান রাখতে আমাকে সক্ষম করবে।’
সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রিফাত বলেন, ‘তিনি আমাকে চীনে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছেন। মূলত মায়ের অনুপ্রেরণাতেই চীনে উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদন করি। কিন্তু এরই মাঝে গত এপ্রিলে মাকে হারিয়েছি। তবে আমার এখন একটাই লক্ষ্য চীনে মাস্টার্স ও পিএইচডি সম্পন্ন করে মায়ের স্বপ্নকে পূর্ণতা দেওয়া।’
দেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সেলিম বলেন, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ খুঁজে বের করুন, নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রস্তুত করুন। কারণ জ্ঞান অর্জনই হচ্ছে উন্নয়নের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।’