Image description

ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ভালো ফলাফলে চমক দেখিয়েছে নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল এন্ড হোমসের শিক্ষার্থীরা। ৩২০ পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৩২০ জনেই পেয়েছে জিপিএ-৫। সর্বোচ্চ ফলাফলে শিক্ষার্থীদের ছিল বাধভাঙ্গা উল্লাস। সেই আনন্দ উল্লাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেন অবিভাবকরাও। ভালো ফল পেয়ে আনন্দে কাঁদতেও দেখা যায় কাউকে কাউকে।

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আজ একযোগে প্রকাশিত হয়েছে। এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল সমন্বিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মতো নিজ নিজ বোর্ড তাদের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ এবং জিপিএ-৫ ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২জন। এর মধ্যে পাসের দিক থেকে এগিয়ে মেয়েরা। এ ছাড়াও জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে মেয়েরা। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সব বোর্ডের চেয়ারম্যান ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার কেন্দ্রীয় ফলে জিপিএ-৫ কমলেও আমাদের স্কুলের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে। এবার ৩২০ ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং সব শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। 

এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৭,৭৯,৭৫৭ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫,৫১,০৭৭ জন। মেয়েদের মধ্যে পাসের হার ৭০. ৬৭ শতাংশ।

অন্যদিকে এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী ছেলেদের সংখ্যা ছিল ৭,৭৯,৭৫৭ জন ৬,৯৯,৫৫৩ জন। ছেলেদর মধ্যে পাস করেছেন ৪,৫৫,৪৭৭ জন। ছেলেদের মধ্যে পাসের হার ৬৫. ১১ শতাংশ। 

এ বছর সকল শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী ৩.৭৯% বেশি পাস করেছেন এবং ৮,২০০ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছেন।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৭৩ হাজার ৬১৬ জন এবং ছাত্রের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪১৬ জন। অর্থাৎ ছেলেদের তুলনায় ৮ হাজার ২০০ জন মেয়ে জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছেন।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ১৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫৮ হাজার ২৩৮ এবং ছাত্রী ৬৬ হাজার ৭৮০ জন। অর্থাৎ জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা।

দাখিলে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ৯ হাজার ৬৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৪ হাজার ১৭৯ জন। অর্থাৎ মাদ্রাসা বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছেন ছাত্ররা।