![Image description](https://content.bdtoday.net/files/img/202502/f8200ce587c95a810026afdf3a5b46e1.png)
শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শুরু হয় গুচ্ছ পদ্ধতির (সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-জিএসটি গুচ্ছ) ভর্তি পরীক্ষা। তবে নানা অসঙ্গতি ও আর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে সেশনজট বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে যায়। প্রথমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে একই পথ অনুসরণ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুুবি) এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। তবে এবার এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)।
সর্বশেষ গতকাল (১২ ফেব্রুয়ারি) অনলাইনে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। সভায় গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অংশ না নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। যদিও এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ইউজিসির অডিটরিয়ামে গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি কমিটির ৩২তম সভা শেষে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন বলে জানিয়েছিলেন অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, সর্বশেষ সভায় আমরা ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও গতকালের সভায় আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে না থাকার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। তারা বিভিন্ন জটিলতার বিষয় সামনে এনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। বিষয়টি নিয়ে আর তেমন কিছু করার সুযোগ নেই। হাবিপ্রবি ইতোমধ্যে তাদের স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এখন আমরা ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ঐক্যবদ্ধ আছি। আশা করছি আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বের হবে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা এবারের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার মানোন্নয়নে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে-সব কারণে আগে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হত, সেগুলো আইডেন্টিফাই করে সমাধানের কাজ করছি। ফলে এবারের পরীক্ষায় আগের সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। ইতোমধ্যে টেকনিক্যাল তাদের কাজ শুরু করেছে। শীঘ্রই ভর্তি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানা যাবে।