Image description

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই আলিসান চৌধুরী। আজ, রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তারা।

এর আগে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে বাদী আমিরুল ইসলামের করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া।

সোমবার (১০ নভেম্বর) গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি করলেও রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে এতথ্য জানা গেছে।

এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানার খবর উড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন। অভিনেত্রী তার ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘অনলাইনে আমার নাম ব্যবহার করে কিছু ভিত্তিহীন ‘মামলা’ সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়ছে। আমার সকল সাংবাদিক সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে কোনো প্রকার যাচাইহীন ও সত্যতা-বিহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকুন।’

এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–৩ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তারসংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আমিরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৭ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় আমিরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দিব, কালকে দিবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি টাকা ফেরত চাইতে গেলে বাদীকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশের একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করতে বলা হয়। সেখানে গেলে মেহজাবীন, তার ভাই ও আরও কয়েকজন তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পাশাপাশি হুমকি দিয়ে বলেন-টাকা চাইতে এলে বা বাসার সামনে দেখা গেলে মেরে ফেলবে। এতে বাদী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

ঘটনার পর বাদী থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ভাটারা থানা তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন।