Image description

ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে সমকামিতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে কর্তৃপক্ষ অব্যাহতি দিয়েছে। এর আগে নিজ বিভাগ থেকে বিভাগীয় সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল থেকে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

পাশাপাশি এই অধ্যাপকের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল থেকে ট্রাইব্যুনাল গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফরিদা বেগম বিষয়টি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন।

একইদিনে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. ফরিদা বেগম সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বিভাগের ২৯ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। পরে ড. মো. এরশাদ হালিমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের অবস্থান একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মো. এরশাদ হালিমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ নভেম্বর একাডেমিক কমিটির জরুরি সভায় অডিও ও ভিডিও ক্লিপ পর্যালোচনা করার পর প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় রসায়ন পরিবার বিব্রত, লজ্জিত ও মর্মাহত। বিভাগ থেকে এই অধ্যাপককে বিভাগীয় সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে আমরা একমত ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীর শাস্তি দাবি করছে।

জানতে চাইলে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এমরান কাইয়ুম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত ১৩ নভেম্বর একাডেমিক কমিটির জরুরি সভায় অডিও ও ভিডিও ক্লিপ পর্যালোচনা করার পর প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বিভাগ থেকে এই অধ্যাপককে বিভাগীয় সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে অব্যাহতি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা সকল ক্লাস পরীক্ষা বয়কট করেছে। এখন আমরা তাদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছি এবং তাদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছি।