
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের (নিসচা) প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিইমারে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরের শুরুতে এ অসুখে আক্রান্ত হন তিনি। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এই সাবেক অভিনেতা। আজ বুধবার (১ অক্টোবর) নিসচা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চনের ছেলে মিরাজুল মইন জয় কানাডা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান।
জয় জানিয়েছেন, চলতি বছরের মুরুতে নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হলে রাজধানীর আনোয়ার খান মডান হাসপাতালে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন থেকেই কথা বলতে গিয়ে আটকে যাওয়া ও অনেক কিছু মনে করতে কষ্ট হত অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনের। ব্রেন টিউমার ধরা পড়লে গত ১৩ এপ্রিল আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিন্স) হাসপাতাললে নেওয়া হয় তাকে।
মিরাজুল মইন জয় বলেন, ডাক্তাররা একটি বোর্ড গঠন করে মতামত দেন যে তার মাথায় অপারেশন করা ক্রিটিক্যাল হবে। কারণ টিউমারটি ব্রেনের অনেক গভীরে গুরুত্বপূর্ণ নার্ভের সংযোগস্থলে অবস্থান করছে। চিকিৎসকদের এই মতামত জানার পরে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত আসে লন্ডনে নিয়ে চিকিৎসা করার। সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্রুত কাগজপত্র ঠিক করে গত ২৬ এপ্রিল তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।
জয় আরও বলেন, লন্ডনে পৌঁছানোর পরের দিনই তাকে সেখানকার হারলি স্ট্রিট ক্লিনিকে নিউরোসার্জনদের অধীনে নেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে গত ৫ আগস্ট লন্ডনের উইলিংটন হাসপাতালে প্রফেসর ডিমিট্রিয়াসের নেতৃত্বে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসক অপারেশনের আগে জানান, পুরো টিউমার অপসারণ করা যাবে না। এতে জীবনহানিসহ প্যারালাইসড হয়ে চলনশক্তি ও কথা বলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারেন তিনি।
এতে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রেখে টিউমারটির কিছু অংশ অপসারণের জন্য তার পরিবার অস্ত্রোপচারের অনুমতি দেয় জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের ছেলে বলেন, টিউমারের বাকি অংশ রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হবে। মোট ৩০ দিন রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি দিতে হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন করে ৬ সপ্তাহ চলবে এই রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির কাজ। চলতি মাসেই শুরু হবে চিকিৎসার এই ধাপ। এরপর ৪ সপ্তাহ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন ইলিয়াস কাঞ্চন।