
গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত দল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত ছিলেন না নুসরাত ফারিয়া। তবে ‘মুজিব’ সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করার পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি। একবার তো এও বলে বসেছিলেন যে, ‘প্রত্যেকটা বাঙালি মেয়ের মধ্যেই একটা করে হাসিনা রয়েছে।’তখন থেকেই পতিত স্বৈরাচারী সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে দেখা হয় নুসরাত ফারিয়াকে। যার জেরে গতকাল রোববার (১৮ মে) ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে আটক হন তিনি। পরে তাকে ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয় করার পর যে সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি, তা নিয়ে গত মার্চে প্রথমবার মুখে খোলেন নুসরাত ফারিয়া। তাকে একটি পডকাস্টে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনি কি শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করার কারণে অনুশোচনায় ভোগেন? এ প্রশ্নের উত্তর ফারিয়া ইংরেজিতে দেন, যার বাংলা করলে দাঁড়ায়— ‘আমি বলতে চাই, এখানে অনুশোচনার মতো কিছুই নেই। মুজিব সিনেমার জন্য ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল— এই ৫ বছর আমি একই লুকে নিজেকে মেইনটেইন করেছি। চুলে কোনো রঙ করিনি, কালো চুল নিয়ে ঘুরেছি এই চরিত্রটির জন্য। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শারীরিক ওজনের মধ্যে থাকতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাইছি— এই সিনেমার জন্য আমি আমার জীবনের দীর্ঘ ৫ বছর দিয়েছি। ফলে সেই কাজটিকে নিয়ে যদি অনুশোচনা করি, তাহলে আমার পেশাকেই অপমান করা হবে।’
নুসরাত বলেন, ‘এই সিনেমার জন্য আমি যে পরিস্থিতি পার করেছি বা এখনো করছি, তা আমার ভাগ্যে লেখা ছিল বলেই মনে করি। এটা খণ্ডানোর ক্ষমতা আমার ছিল না। একটি দেশের সরকারি পর্যায় থেকে কোনো কাজের প্রস্তাব এলে তা নিজের অত পছন্দ না হলেও মানা করা যায় না।’
গেল বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লম্বা সময় নিভৃতেই ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। তবে গত রোজার ঈদের সময় ফের বিনোদন অঙ্গনে সরব হন তিনি। ঈদে তার সিনেমা ‘জ্বিন-৩’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। তবে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যান্য সিনেমার তুলনায় খুব একটা সাড়া ফেলতে পারেনি ‘জ্বিন-৩’।