
দেশের ফ্যাশন বাজারে ভারতীয় পোশাকের আধিপত্য বহুদিনের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়ীদের মতে, ভারতীয় পোশাক আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা এবং সামাজিক মাধ্যমে পাকিস্তানি সংস্কৃতির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির ফলে এ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাকিস্তানি পোশাকের নানা দিক নিয়ে লিখেছেন— পৃথিলা দাস
আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে জমে উঠেছে পোশাকের বেচাকেনা। প্রতি বছরই বিশেষ কিছু পোশাক ট্রেন্ডিংয়ে থাকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবার ক্রেতাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষেই রয়েছে পাকিস্তানি ড্রেস। কিন্তু পাকিস্তানি পোশাকের প্রতি কেন দেশের মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে? রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে জানা গেছে তার কারণ। মো. আসিফ নামে এক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, ‘মানুষ নতুনত্ব পছন্দ করে। আগে ভারতীয় পোশাকের প্রতি নির্ভরতা থাকলেও এখন কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। ১৪-১৫ বছর ভারতীয় পোশাক আমদানির ওপর নির্ভর করলেও ৫ আগস্টের পর থেকে পরিস্থিতি বদলেছে। বর্তমানে ভারতীয় পোশাক সেভাবে দেশে আসছে না, ফলে মানুষ পাকিস্তানি পোশাকের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।’
তিনি আরও জানান, ‘তরুণ প্রজন্ম পাকিস্তানি পোশাকের দিকে বেশি ঝুঁকছে, কারণ এই পোশাকগুলোর ডিজাইন তাদের আকর্ষণ করছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তানি নাটক ও সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়া অন্যতম একটি কারণ। তার ভাষায়, ‘দেশের মানুষ যা ভাইরাল হয়, তার পেছনে ছোটে। আগে যেমন ভারতীয় পোশাক জনপ্রিয় ছিল, এখন পাকিস্তানি পোশাকের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।’ বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার পাকিস্তানি পোশাকের বিক্রি কিছুটা কম বলেও জানান তিনি। তার মতে, ‘গত বছর রমজানের শেষ সময়ে এত ভিড় ছিল যে আমরা ইফতারের সময়ও ঠিকমতো পেতাম না; কিন্তু এবার সে তুলনায় বিক্রি কম হয়েছে। এর পেছনে মূলত রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। আগের বছরগুলোয় যারা অনৈতিক উপায়ে আয় করতেন, তারা অনেক টাকা পোশাকের পেছনে ব্যয় করতেন। কিন্তু এখন তারা দেশ ছেড়েছেন, ফলে খরচও কমেছে। বর্তমানে আমাদের ক্রেতাদের বড় অংশই মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।’
পাকিস্তানি পোশাকের মান ও ব্যবসায়ীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ‘বাজারে কিছু ব্যবসায়ী শতভাগ আসল পাকিস্তানি পোশাক বিক্রি করেন। আবার কেউ কেউ ২০ শতাংশ পাকিস্তানি কাপড়ের সঙ্গে ৮০ শতাংশ দেশীয় কাপড় মিশিয়ে পোশাক তৈরি করেন। এই মিশ্রণ বোঝা খুব কঠিন।’
আরেকটি জনপ্রিয় ফ্যাশন হাউস জাফিরা ক্লোথিংয়ের ব্যবস্থাপক সাজু আহমেদ পাকিস্তানি পোশাকের দাম নিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তানি পোশাকের দাম সবসময়ই একটু বেশি থাকে, কারণ কাপড়ের মান ভালো। এ ছাড়া আমাদের দেশে কেরিং চার্জ (পরিবহন খরচ) এবং ভ্যাট বেশি, যা পোশাকের দামে প্রভাব ফেলে। যদি কেরিং চার্জ কমানো যায় বা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়, তাহলে পোশাকের দাম আরও কমে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যাদের মাধ্যমে পোশাক আসে, তারা বেশি চার্জ নেয়। ফলে আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়। এবার অনেকেই বলছে দাম বেড়েছে, কিন্তু আসলে দাম আগের মতোই আছে। শুধু পরিবহন ব্যয় ও আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। আগে যারা ভারতীয় পোশাক কিনতেন, তারা পাকিস্তানি পোশাকের তুলনামূলক বেশি দাম দেখে হয়তো মনে করছেন দাম বেড়ে গেছে।’
ভারতীয় পোশাক আমদানি কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে সাজু আহমেদ বলেন, ‘ভারতীয় সরকার বাংলাদেশে পোশাক পাঠাতে চায় না। তারা ভিসা বন্ধ রেখেছে, যোগাযোগের সব পথও সীমিত করে দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশে ভারতীয় পোশাকের আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানি পোশাকের দামের বিষয়ে তিনি জানান, গর্জিয়াস ও ফ্যাশনেবল পোশাকগুলোর দাম ৩ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর সাধারণ সুতি কাপড়ের পোশাকের দাম ১ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে। মধ্যবিত্তরা পাকিস্তানি পোশাক কিনলেও তারা মূলত মাঝারি দামের পোশাকই কিনছে। সাজু আহমেদ বলেন, ‘অনেকে চাইলেও বেশি দামি পোশাক কিনতে পারছেন না। গত বছর বিক্রি অনেক ভালো ছিল, তবে এবার বিক্রি কিছুটা কম। শবেবরাতের পর ১৫ রমজান পর্যন্ত বিক্রি একটু কম থাকে, তবে শেষের দিকে আবার বাড়তে শুরু করে।’
সিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজের দায়িত্বে থাকা মো. হানিফ কালবেলাকে বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমরা পাকিস্তানি পোশাক নিয়ে কাজ করছি। তবে এবারের মতো এত বেশি চাহিদা আগে দেখিনি। ভারতীয় পোশাকের সংকটের কারণে অনেক ক্রেতা পাকিস্তানি পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন। তা ছাড়া পাকিস্তানি পোশাকের কাপড়, সূচিকর্ম ও ডিজাইন একটু ব্যতিক্রমী, তাই যারা ট্রেন্ডি পোশাক পছন্দ করেন, তারা এগুলো কিনছেন। তবে দাম কিছুটা বেশি, তাই মধ্যবিত্তরা একটু হিসাব করে কিনছেন। অনেকে একাধিক পোশাক না নিয়ে এবার শুধু একটিই কিনছেন।’
দেশে পাকিস্তানি ফ্যাশন ট্রেন্ড মূলত মিডিয়ার মাধ্যমে এসেছে বলেও দাবি বেশিরভাগ ব্যবসায়ীদের। পাকিস্তানি নাটক ও সিরিয়ালে যে ধরনের পোশাক দেখা যায়, অনেক ক্রেতাই ঠিক সেরকম পোশাক চান।
এবার ঈদ বাজারে পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা বাড়লেও বিক্রি কিছুটা কম। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, ক্রেতারা আগের মতো খরচ করতে পারছেন না। মধ্যবিত্তদের বেশিরভাগই ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে পোশাক খুঁজছেন, যেখানে একসময় অনেকে ৭ হাজার থেকে ১ হাজার টাকার পোশাক কিনতেন।
ইস্টার্ন মল্লিকাতে ঈদের পোশাক কিনতে আসা সাবিহা বলেন, ‘আমি সাধারণত ভারতীয় পোশাক পরি, কিন্তু এবার বাজারে সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পাকিস্তানি পোশাক দেখছি। ডিজাইন সুন্দর, তবে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা ভালো সালোয়ার-কামিজ কিনতে গেলেও ৪ হাজার টাকার বেশি লাগছে। মধ্যবিত্তদের জন্য এটা অনেক বেশি। তাই এবার হয়তো একটার বেশি কেনা হবে না।’
স্ত্রীর জন্য পোশাক কিনতে এসেছিলেন ব্যাংকার মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী সাধারণত ভারতীয় পোশাক বেশি পছন্দ করে, কিন্তু এবার সেটার অভাব। পাকিস্তানি পোশাক দেখতে ভালো লাগলেও দাম বেশি। আগে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় যেরকম ভালো একটা পোশাক পাওয়া যেত, এখন সেটার জন্য ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা লাগছে।’
বসুন্ধরা সিটি মার্কেটে পোশাক কিনতে আসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, ‘আমি সবসময় ট্রেন্ড ফলো করি। পাকিস্তানি পোশাকের ডিজাইন, এমব্রয়ডারি সুন্দর, তাই নিতে চাই। তবে বাজেট নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। অনলাইনে দেখেছি, কিছু দোকানে ভারতীয় পোশাকও পাওয়া যাচ্ছে, তবে দাম বেশি। তাই এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
দেশে পাকিস্তানি পোশাকের জনপ্রিয়তা বাড়লেও, বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। ভারতীয় পোশাকের সংকট, পাকিস্তানি পোশাকের উচ্চমূল্য, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি এবং ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার পরিবর্তন—সব মিলিয়ে এবারের ঈদ বাজার গত বছরের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন চিত্র উপস্থাপন করছে। তবে ফ্যাশন ট্রেন্ড যেদিকে যায়, ব্যবসায়ীরাও সেই অনুযায়ী নিজেদের মানিয়ে নেন, আর এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
বিশ্বরঙের কর্ণধার বিপ্লব সাহা দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা নিয়ে কালবেলার সঙ্গে এক দীর্ঘ আলাপচারিতায় তার ভাবনা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন, বিদেশি কাপড়ের সহজলভ্যতা ও সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণে দেশীয় ফ্যাশন শিল্প এক গভীর সংকটে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিদেশি কাপড় তো কেউ না কেউ নিয়ে আসে, কোনো না কোনো পথে, কেউ না কেউ বিক্রি করে। গত ৩০ বছর ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন আমাদের জন্যই হয়েছে। আমরা যদি শুরু না করতাম, তাহলে দেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এ পর্যায়ে পৌঁছাত না।’
বিপ্লব সাহার মতে, দেশীয় পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ার কারণ এর সঙ্গে যুক্ত সৃজনশীলতা ও মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান। তিনি বলেন, ‘দেশি কাপড়ের দাম বেশি কারণ এখানে একটি ক্রিয়েটিভ টিম কাজ করে। প্রত্যেকেই মাস্টার্স ডিগ্রি পাস করা। প্রত্যেকেই লাখ লাখ টাকার লেখাপড়া করে এসেছে। আমি তো দিল্লি, মুম্বাই বা করাচি থেকে কাপড় এনে বিক্রি করছি না। দেশি কাপড়ে আমাদের শিল্পীরা পরিশ্রম করে কাজ করেন।’
দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য বিপ্লব সাহা সরকার ও জনগণ উভয়কেই দায়ী করেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছে এই দেশ, এই দেশের মানুষ, এই দেশের সরকার। যখন যে আসছে, তখনি সে মুনাফা লুটে নিচ্ছে। কেউ কি সত্যিই চায় একটি সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ তৈরি হোক? মোবাইল, ফেসবুক এগুলো বন্ধ করে দিক, মানুষকে শিক্ষিত করুক, মানুষের মানসিকতা সুস্থ করুক।’
তিনি মনে করেন, মানুষের মননে দেশপ্রেমের অভাব তৈরি হয়েছে, যা আগে ছিল না। তিনি বলেন, ‘আগে দেশের প্রতি মানুষের আনুগত্য ছিল, কিন্তু এখন তা নেই। আমাদের রক্তে বিদেশি প্রোডাক্ট মিশে গেছে। আমরা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন, হাসানকে নিয়ে গর্ব করি না। আমরা নিজস্ব ঐতিহ্য ভুলে যাচ্ছি।’
বিপ্লব সাহা সরকারের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন, বিশেষ করে দেশীয় পণ্যের ওপর আরোপিত কর নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশি প্রোডাক্টের ওপর ৭ থেকে এখন ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। যিনি এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তিনি আসলে দেশের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তিনি যদি বুঝতেন, তাহলে এমন অবুঝের মতো কাজ করতেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের কারণে দেশীয় পণ্য ক্রেতাদের কাছে কম আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে, ফলে মানুষ বিদেশি কাপড়ের দিকে ঝুঁকবে। এতে দেশীয় শিল্পের আরও ক্ষতি হবে, আর আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাবে। অথচ সরকারের কারও এতে মাথাব্যথা নেই।’
বিপ্লব সাহা মনে করেন, সরকারের উচিত একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরি করা, যাতে দেশের মানুষ দেশীয় পণ্য কিনতে উৎসাহিত হয়। তিনি বলেন, ‘মার্কেট পলিসি ও প্রমোশন করা সরকারের দায়িত্ব। দেশের মানুষ কী পরবে, সেটা সরকারকে ঠিক করে দেওয়া উচিত। যদি সরকার সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরি করে যে, দেশীয় পণ্যকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তাহলে আমরা স্বনির্ভর হতে পারব।’
বিপ্লব সাহার মতে, কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে বিদেশি পণ্যকে বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছে, যার ফলে দেশীয় পণ্য ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এই স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কারণে পুরো দেশের মানুষের মধ্যে দেশীয় পণ্যের প্রতি অরুচি তৈরি হচ্ছে।’
বিপ্লব সাহার কথায় ফুটে ওঠে দেশীয় ফ্যাশন শিল্পের প্রতি গভীর মমত্ববোধ এবং এর সংকট নিয়ে তার অসন্তোষ। তিনি চান, সরকার ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করে দেশীয় শিল্পের উন্নয়ন ঘটাক এবং বিদেশি পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করুক।
সৈয়দা নুসরাত জাহান একজন বেসরকারি চাকরিজীবী, দেশীয় পোশাক কিনতে ভালোবাসেন। তবে তিনি মনে করেন, দেশীয় পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি, যা অনেক সময় ক্রয়ের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় দেশীয় ব্র্যান্ডের পোশাক পরতে চাই। আমাদের দেশীয় ডিজাইনারদের কাজ সত্যিই দারুণ, কাপড়ের মানও ভালো। তবে অনেক সময় দাম এত বেশি থাকে যে বাধ্য হয়ে বিকল্প খুঁজতে হয়। বিদেশি ব্র্যান্ডের পোশাক কম দামে অনলাইনে সহজেই পাওয়া যায়, যা অনেকের কাছে বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।’
ইমন হোসেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, পোশাক কেনার ক্ষেত্রে দেশীয় ও বিদেশি ব্র্যান্ডের মধ্যে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘দেশীয় ব্র্যান্ডের পোশাক সুন্দর, তবে অনেক সময় একই ধরনের ডিজাইন বারবার দেখা যায়। বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোয় অনেক বেশি বৈচিত্র্য পাওয়া যায়, আর দামেও তুলনামূলক সাশ্রয়ী। ফলে অনেকেই বিদেশি পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন। যদি দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো দামের দিক থেকে আরও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারে, তাহলে মানুষ আরও বেশি দেশীয় পোশাক কিনবে।’