বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে ঘণ্টায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেগে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে এটি লঘুচাপ ও গভীর নিম্নচাপ পর্যায় সম্পন্ন করে পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ‘মোখা’ নামের এই ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ মে সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে উপকূলে ১২০ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে। আক্রান্ত হতে পারে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী এলাকা।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের চারপাশে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। এটি বর্তমানে ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে স্থলভাগের দিকে। এ গতি অব্যাহত থাকলে রোববার (১৪ মে) দুপুর নাগাদ এটি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মোখার গতিপথ এখন পর্যন্ত ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে হলেও শুক্রবার (১২ মে) উত্তর-পূর্বে বাঁক নিয়ে সেটি বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগোবে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে রোববার মোখা আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। এ অবস্থায় দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এদিন সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি।
এর আগে আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সকাল নাগাদ প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে মোখা।
এদিকে দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহ কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বলা হচ্ছে, শুক্রবার থেকে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে।