Image description

হোলি আর্টিজান হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি করবেন বিচারপতি শহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। মামলার পেপার বুক ইতোমধ্যে প্রস্তুত হওয়ায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার বিচারপতি শহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ দায়িত্ব দেন।

হোলি আর্টিজান মামলায় ৭ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে খালাস দেয় বিচারিক আদালত। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান এ রায় দেন। পরে ৩০ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামির ডেথ রেফারেন্স ও মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে আসে। এর পরেই ওই সময়ের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার পেপার বুক প্রস্তুতের নির্দেশ দেন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। হামলা প্রতিরোধে গিয়ে বোমার আঘাতে নিহত হন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন।

এ হামলার ঘটনায় করা মামলায় ৭ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন— হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‍্যাশ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

বহুল আলোচিত ওই  হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা— সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও ওসি সালাহ উদ্দিনসহ ২২ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির নাগরিক, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয় এবং একজন বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। বাকি দুজন ইশরাত আকন্দ ও ফারাজ আইয়াজ হোসেন বাংলাদেশি নাগরিক।