ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে জটিলতা, অনিয়ম, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নানা টালবাহানা, বারবার প্রতিশ্রতি দিয়েও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ না করার প্রতিবাদে প্র্যাকটিস বয়কট, বিদেশি ক্রিকেটারদের হোটেলে থেকেও ম্যাচ না খেলাসহ নানা তুঘলকি কাণ্ড ঘটে যাচ্ছে এবারের বিপিএলে।
পরিস্থিতির ইতিবাচক সমাধানে বিসিবিও হিমসিম খাচ্ছে। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে সৃষ্ঠ অচলাবস্থা ও অনিয়ম তদন্তে উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ৩ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিও গঠন করা হয়েছে এনএসসির পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি আরও একটি ঘটনাও এবারের বিপিএলকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। তাহলো ‘স্পট ফিক্সিং’। এরই মধ্যে সন্দেহের তীর ছোঁড়া হয়েছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিপক্ষে।
এমন নয়, অভিযুক্তদের বিপক্ষে স্পট ফিক্সিংয়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে এবং দালিলিক প্রমাণও আছে। তবে যাদের নাম আসছে, সে সব ক্রিকেটারের আচরণ, আউট হওয়ার ধরন, অযথা অপ্রয়োজনে নো বল, ওয়াইড ডেলিভারি দেওয়া নিয়েও আছে নানা মুখরোচক কথা-বার্তা, গুঞ্জন।
এরই মধ্যে কিছু ঘটনা অনেকেরই নজরে এসেছে। যা খালি চোখে অস্বাভাবিক ঠেকেছে। অনেক ক্রিকেটারকে অযথা ওয়াইড করতে দেখা গেছে। কারো কারো আউটের ধরণ রীতিমত দৃষ্টিকটুও লেগেছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। সব মিলিয়ে স্পট ফিক্সিংয়ের সন্দেহ করার মত উপাদান আছে বেশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্পট ফিক্সিং ইস্যুটা বিসিবির দুর্নীতি দমন সংস্থার (আকসু) নজরেও এসেছে। জানা গেছে, তারা স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্তদের একটা তালিকাও তৈরি করেছে। তবে খুব স্বাভাবিকভাবেই সে তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশের সম্ভাবনাও শুণ্যের কোঠায়।
সবচেয়ে বড় কথা, স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযুক্তদের মাঠ ও মাঠের যাবতীয় কর্মকান্ড নিবিঢ় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়, স্পট ফিক্সিং ইস্যুটা কি শুধুই সন্দেহ? না তার সত্যতাও আছে। সন্দেহভাজনদের বিপক্ষে উপযুক্ত দলিল ও প্রমাণ খোঁজা হচ্ছে। দালিলিক প্রমাণ মিললেই সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরুর সম্ভাবনাও আছে।