নতুন দলটি হবে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে। এখানে সাংবিধানিক ফ্যাসিবাদী কাঠামোর কোনো স্থান থাকবে না। পুরোনো সমস্যা, যেমন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীত কর্মকাণ্ড বা কোনো বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে নতুন দলের নেতৃত্ব হাঁটবে না নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক কমিটি
আলাউদ্দিন আরিফ 8 নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে জোটবদ্ধ হয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে ছাত্ররা। আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ছাত্র-জনতার নতুন দল গঠনের ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। তবে দলের নাম দেওয়া, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ, গঠনতন্ত্র এবং ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, কমিটি গঠন, কর্মপদ্ধতি নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন হয়নি। এসব কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা। তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করে নতুন দলের মহাসচিবের দায়িত্ব নেবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। তবে নতুন দল গঠন হলেও জাতীয় নাগরিক কমিটি (জানাক) থেকে যাবে। জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি তার লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন ও পদত্যাগের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গঠন ও পদত্যাগের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকারে থেকে কোনো রাজনৈতিক দলে থাকব না। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি আছে। তবে বিএনপি সময় চাওয়ায় তা বিলম্ব হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল সংস্কারের ভিত্তি তৈরি করে দিতে চাই, যাতে যখন যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, ফ্যাসিবাদ যেন আর না ফিরে আসে।’ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বে দেওয়া ছাত্রদের পক্ষ থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সুসংহত করে দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয় গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর। তখন থেকেই ছাত্ররা নতুন দল গঠন করার বিষয়ে নানান আলাপ আলোচনা শুরু হয়, যা বর্তমানে একটি কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারিকে ডেটলাইন ধরে নতুন দল ঘোষণার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। দলের নাম ঠিক করা, কাঠামো তৈরি, গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নতুন দলে প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হবে। পরে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে।’ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘নতুন দলটি হবে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে। এখানে সাংবিধানিক ফ্যাসিবাদী কাঠামোর কোনো স্থান থাকবে না। পুরোনো সমস্যা, যেমন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীত কর্মকাণ্ড বা কোনো বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে নতুন দলের নেতৃত্ব হাঁটবে না।’ দলের সম্ভাব্য নাম কী হতে পারে এবং অর্থের উৎস কীভাবে নিশ্চিত হবে?
এ বিষয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আন্দোলনগুলোর মতোই এখানে জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। আমরা জনগণের কাছে সম্ভাব্য নাম প্রস্তাব চাইব এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্থের উৎস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরাম নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে সেগুলোর সাহায্যে যথাযথভাবে কাজ করা যায়।’ জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রতিযোগিতা করব। আমাদের উদ্দেশ্য ক্ষমতা নয়; দেশের কল্যাণ সাধন করা। যদি গণহত্যার বিচারের আগেই নির্বাচন হয়, তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে যে কোনোভাবে জুলাই-আগস্টের খুনিদের বিচার নিশ্চিত করা।’ নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘নির্বাচনের ভোটযুদ্ধে ফল যাই হোক, জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করার অঙ্গীকার রয়েছে আমাদের। নতুন দল রাজনৈতিক জোটেও যোগ দিতে পারে। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া কয়েকটি দলের সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা চলছে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির এক কেন্দ্রীয় সদস্য কালবেলাকে বলেন, ‘নতুন দল গঠনের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। এ নিয়ে প্রতিদিনই মিটিং হচ্ছে। আলোচনা চলছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন দল ঘোষণা করা।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ কালবেলাকে বলেন, ‘নতুন দল গঠন নিয়ে আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি। সবাই নিয়মিত বসছি। দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ, গঠনতন্ত্রসহ ঘোষণাপত্র তৈরির কাজ চলছে। আমরা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দল গঠনের ঘোষণা দিতে চাই।’ দলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কারা হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে আলী আহসান জোনায়েদ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। দলের নাম, আহ্বায়ক বা সদস্য সচিব কারও নামই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রাফে সালমান রিফাত কালবেলাকে বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারির ১৪ থেকে ১৫ তারিখের দিকে দলের ঘোষণা দিতে পারি। আমরা সবার মতামত নিচ্ছি। কাজ অনেক; অনেক ঘোছানোর বিষয় আছে। আহ্বায়ক বা সদস্য সচিব কে হবে, কোনোটাই এখনো নিশ্চিত নয়। দলের নামও এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটুকু বলতে পারি, আমরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। জাতীয় নাগরিক কমিটির এক যুগ্ম আহ্বায়ক কালবেলাকে বলেন, নতুন দল গঠন হলে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে নতুন দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তবে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বা অন্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগের কোনো সম্ভাবনা নেই। ওই যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, উপদেষ্টা তিনজন ছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের বড় একটি অংশ বাইরে আছেন। তারাও দলের নেতৃত্বে আসতে পারেন। তবে নাহিদ নতুন দলে আসার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিতই বলা যায়; কিন্তু সেটা এত তাড়াতাড়ি নয়। আরও সময় লাগবে। নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, নতুন দল গঠন হলেও জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে যাবে। এটা কোনো রাজনৈতিক দল নয়। বরং জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে একটি প্ল্যাটফর্ম। জুলাই বিপ্লবে অংশ নেওয়া ছাত্রদের এখন দুটি প্ল্যাটফর্ম একটি বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলন অপরটি জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই দুটি কমিটি ছাড়াও কয়েকজন মুখ্য সংগঠক আছেন। জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে নন-কনভেনশনাল কিছু অংশীজন আছেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে নতুন দল গঠনের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ ছাড়া আরও রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের নতুন দলের গঠনের বিষয়টি কীভাবে নেয়, সে বিষয়গুলোও পর্যালোচনা চলছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির একজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বলেন, নতুন দলে নাহিদ ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ থাকবেন এটা নিশ্চিত বলা যায়। কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্বে ছিলেন নাহিদ।
তিনি ছিলেন জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের এক দফার ঘোষক। ছাত্র-জনতার কাছেও নাহিদ ইসলামের জনপ্রিয়তা রয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি বৈঠকে বেশিরভাগ সদস্য মতামত দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা এক বা একাধিক ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত। সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে যেসব ছাত্র উপদেষ্টার গ্রহণযোগ্যতা বেশি তাদের পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়ে নেতৃত্বে আসা প্রয়োজন। জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা আলাপ প্রসঙ্গে জানান, নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণার আগে একটি আহ্বায়ক কমিটি হবে। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, আলী আহসান জোনায়েদসহ বেশ কয়েক জনের নাম আলোচনায় রয়েছে। আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের পরে সময় নিয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে। নতুন রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির একজন নেতা বলেন, ‘নতুন দলের গঠনতন্ত্র কী হবে সেটা নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে, দেশের ও দেশের বাইরে বিশেষ করে বিভিন্ন দেশে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যেসব রাজনৈতিক দল গঠন হয়েছে সেসব দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। তুরস্কের এরদোয়ানের এ কে পার্টি, পাকিস্তান তেহরিক ইনসাফ পাটি, ইন্দোনেশিয়ার আন্না হাদা পার্টিসহ বিভিন্ন দেশে তরুণদের গঠন করা জনপ্রিয় দলগুলোর গঠনতন্ত্র সংগ্রহ করে পর্যালোচনা চলছে। সেগুলোকে পর্যালোচনা করে জুলাই বিপ্লবকে মাথায় রেখে একটি ঘোষণাপত্র তৈরির কাজও চলছে।’
নতুন দলের প্রথম কর্মসূচি কী হবে জানতে চাইলে একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমরা জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের বাড়ি থেকে চট্টগ্রামে শহীদ ওয়াসিম আকরামের বাড়ি পর্যন্ত লংমার্চ করার পরিকল্পনা নিচ্ছি। দল ঘোষণার পর এবং রোজা শুরুর আগে কিছু সময় হাতে রাখতে চায় সংগঠনটি। এ সময় জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেবে তারা। জাতীয় নাগরিক কমিটি সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক দলের নাম চূড়ান্ত না হলেও এখন পর্যন্ত দেশের প্রায় সব জেলা কমিটি, ২৩৫ উপজেলা ও সাত উইং কমিটি গঠন করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতা নতুন দল গঠনের বিষয়টিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে রাষ্ট্রচিন্তক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হক কালবেলাকে বলেন, ‘নতুন দল গঠনের বিষয়টি অত্যন্ত ইতিবাচক। বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে রাজনৈতিক দলগুলো ভেতরে গণতান্ত্রিকচর্চার অভাব চরমভাবে লক্ষ্য করা গেছে। একক সিদ্ধান্ত ও স্বৈরাচারি আচরণের কারণে আওয়ামী লীগকে এখন করুণ পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে। অন্যান্য দলগুলোর মধ্যেও দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তের আধিপত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা দেশের জন্য এবং ওই রাজনৈতিক দলের জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে না। এখন একটি ইয়াং ফোর্স একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করছে। তারা সামনে এগিয়ে যেতে চাচ্ছে। তারা দল গঠন করলে দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা থাকবে। এতে করে দেশের রাজনৈক দলগুলোর মাধ্যমে যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে সেটা দূর হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নঅধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক মো. বুরহান উদ্দিন নোমান কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের দেখতে হবে ছাত্ররা কেন নতুন দল গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে? এটার উদ্দেশ্য যদি শুধু ক্ষমতায় যাওয়া হয়, তাহলে দেশে বিএনপি, জামায়াতসহ বহু দল আছে। এর থেকে নতুন দলের সফলতার চ্যালেঞ্জ অসীম; কিন্তু ছাত্রদের চাওয়া হচ্ছে প্রকৃত দেশপ্রেমিক লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে একটি দল গঠন করা, রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। তারা ৫৪ বছরের প্রচলিত রাজনীতির ধারা থেকে আলাদা কিছু দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন করবে। দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা ও শৃঙ্খলা থাকবে। তাদের লক্ষ্য যেহেতু দেশের জন্য কাজ করা, যেই কাজগুলো অন্যরা দলীয় চিন্তা ও স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে করতে পারেনি এবং করছে না, দেশের মানুষের জন্য সে কাজগুলো করা, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে যে কোনো ধরনের আগ্রাসন প্রতিহত করা সেহেতু তাদের সফলতা আসবেই।’