ফিফা র্যাংকিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাইল্যান্ডের মেয়েরা। বাংলাদেশের ১০৪ নম্বরের বিপরীতে থাইল্যান্ডের ৫৩। সেই শক্তিমত্তার পরিচয় যেন পেল বাংলাদেশ। প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে ৩-০ ব্যবধানে হারলেও আজ আরো বড় পরাজয় সঙ্গী হয়েছে কোচ পিটার বাটলারের শিষ্যদের।
ব্যাংককের অ্যানিভার্সারি স্টেডিয়ামে আজ দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে ৫-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই হার দেখল লাল-সবুজের মেয়েরা। ২০১৩ সালে প্রথম ম্যাচে ৯-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ করে থাইল্যান্ড।
গোল হজম করা বাংলাদেশ বেশ কটি আক্রমণ করলেও তা সমতায় ফেরার মতো ছিল না। অন্যদিকে ২৩ মিনিটে বাংলাদেশের হাই লাইন ডিফেন্সকে আবারো বুড়ো আঙুল দেখায় থাইল্যান্ড। সতীর্থর বাড়ালো লং পাসে দৌড়ে বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ছিটকে ফেলে গোলরক্ষক রূপনা চাকমার মাথার উপর দিয়ে বলকে জালে পাঠান জিরাপর্ন মংকোলডি।
২৯ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। মারিয়া মান্দার কর্নার থেকে হেডে গোলটি করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।
বিরতির পর ব্যবধান তো কমাতে পারেনি উল্টো আরো দুই গোল হজম করে বাংলাদেশ। মেরিসনের ৫৪ মিনিটে করা গোলটিতে অবশ্য ভুল ছিল বাংলাদেশের গোলরক্ষক রূপনার। গোলবার ছেড়ে সামনে এগিয়ে আসায় তার মাথার ওপর দিয়ে বলকে জালে পাঠান মেরিসন। এর ৩ মিনিট পর পেনাল্টি পায় থাইল্যান্ড।
বক্সের মধ্যে জিরাপর্ন মংকোলডিকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। নিজেই পেনাল্টিও নেন তিনি। তার সফল স্পটকিকে ৫-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে থাইল্যান্ড। ম্যাচের যোগ করা সময়ে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ঋতুপর্ণা চাকমার বাঁ পায়ের শট প্রতিপক্ষের বক্সের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।