লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউনিফিল) জানিয়েছে, তারা রবিবার একটি ইসরায়েলি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যেটি দেশটির দক্ষিণে টহলরত তাদের একটি ইউনিটের ওপর দিয়ে উড়ছিল। এটি জাতিসংঘ বাহিনী ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হওয়া সাম্প্রতিকতম ঘটনা।
ইউনিফিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ড্রোনটি সীমান্ত শহর কফার কিলার কাছাকাছি ‘আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে’ উড়ছিল এবং শান্তিরক্ষীরা ‘প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক পাল্টা ব্যবস্থা’ নিয়েছিলেন।
তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ড্রোনটি ‘রুটিন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ’ করছিল।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফট্যানেন্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি এক্সে পোস্ট করে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কাছাকাছি থাকা ইউনিফিল বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রোনটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে এবং ভূপাতিত করেছে। ড্রোনের কার্যকলাপ ইউনিফিল বাহিনীর জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করেনি।’
তিনি আরো বলেন, পরে ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোনটি যেখানে পড়েছিল তার দিকে একটি গ্রেনেড ফেলেছে।
তিনি যোগ করেন, ‘এটা জোর দিয়ে বলা দরকার, ইউনিফিল বাহিনীর দিকে কোনো গুলি চালানো হয়নি।
ইউনিফিল জানিয়েছে, আরেকটি ইসরায়েলি ড্রোন টহলরত তাদের ইউনিটের ‘খুব কাছে’ গ্রেনেডটি ফেলেছিল।
তারা আরো জানায়, ‘এর কিছুক্ষণ পরেই একটি ইসরায়েলি ট্যাংক শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে একটি গুলি ছোড়ে। সৌভাগ্যবশত, ইউনিফিলের শান্তিরক্ষী বা তাদের সম্পদের কোনো আঘাত বা ক্ষতি হয়নি।
গত নভেম্বরে লেবাননের আন্দোলন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইসরায়েল লেবাননের ওপর দিয়ে ড্রোন ওড়ানো এবং লেবাননে থাকা ব্যক্তি ও লক্ষ্যবস্তুর ওপর বিমান হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে, যাদের তারা ওই গোষ্ঠীটির সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা হিজবুল্লাহকে পুনর্গঠিত হওয়া এবং পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহ করা থেকে বিরত রাখতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।