
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এদিন মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২০৭ রান করে বাংলাদেশ।২০৮ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দারুণ শুরু করলে শেষ পর্যন্ত রিশাদ ঘূর্ণিতে মাত্র ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটে বলে দারূণ পারফর্ম করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রিশাদ হোসেন।
একই দিনে দুটি কীর্তি গড়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পেয়েছেন। বাংলাদেশের কোনো ডানহাতি স্পিনারেরই ওয়ানডেতে এমন কীর্তি ছিল না। পরে আরও এক উইকেট নিয়ে রিশাদ হয়ে গেছেন ৬ উইকেট নেওয়া প্রথম বাংলাদেশি স্পিনারই।
বোলিংয়ের কীর্তির আগে ব্যাট হাতেও দলের রানটা দুই শ পার করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ৮ নম্বরে নেমে ২ ছক্কা ১ চারে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। শেষ দিকে নেমে রিশাদ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে দলের রানটা বাড়াতে সহায়তা করেন প্রায়ই।
ব্যাটিংয়ের সময়ের ভাবনার কথা জানাতে গিয়ে ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রিশাদ বললেন, ‘যখন ব্যাটিংয়ে নামি তখন আমার মাথায় থাকে কীভাবে একটু বাড়তি রান করা যায়। যে জায়গায় ১৮০ হয়, সেখানে যদি ২১০–২১৫ হয়, তাহলে ভালো। আমি বুঝি দলের কী দরকার, সেটাই চেষ্টা করি ব্যাটিংয়ে।’
তবে নিজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স নিয়ে রিশাদের মধ্যে বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই, ‘আসলে তেমন কিছু বলার নেই। এটা আমার কাজ, আমাকে করতেই হবে। সবাই আজ একটু ভুগছিল, আমি চেষ্টা করছিলাম সেরাটা দিতে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক শাই হোপ জানান, তাঁর দলের ব্যাটসম্যানেরা বাংলাদেশের স্পিনারদের বিপক্ষে ভুগেছেন। বিশেষ করে রিশাদের বলে, ‘স্পিনারদের অনেক বেশি সুবিধা দিয়েছে এই উইকেট। রিশাদ খুব ভালো লাইন-লেন্থে বল করেছে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য ধারাবাহিকতা ধরে খেলাটা কঠিন করে ফেলেছিল।’
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দায় দেওয়া হোপ জানান, তাঁর দল ২০৮ রানের জয়ের লক্ষ্য পেয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল, ‘যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে, যেকোনো লক্ষ্য তাড়া করতে পারবেন, এই বিশ্বাসটা থাকতে হবে। যদি কোনো দল ৫০ ওভারে ৫০০ রানও করে, তখনো আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে এই রান করতে পারবেন। আমাদেরও তা ছিল।’