Image description

হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার বিদায় প্রায় চূড়ান্ত; তবে স্প্যানিশ এই কোচের বিদায়ে কি ভাঙছে সিন্ডিকেটের বলয়? এমন প্রশ্নের উত্তর হয়তো বিশ্লেষণযোগ্য নয়। তবে সবকিছুই ইতিবাচক হয়ে দাঁড়াতে পারে, যদি লাল-সবুজের ড্রাগআউটে শক্ত মেরুদণ্ডের কোনো কোচকে পাওয়া যায়।

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়াল আগেভাগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, হংকংয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটিই হতে পারে ক্যাবরেরা অধ্যায়ের শেষ অংশ। কিন্তু ভাগ্যের অদ্ভুত পরিহাস, সমালোচনা আর ব্যর্থতার ভার সঙ্গী করেই লাল-সবুজ শিবিরের সঙ্গে হংকংয়ে পাড়ি জমিয়েছেন স্প্যানিক এই কোচ। এমনটা কেন ঘটল? সহজ করে বললে, এই প্রশ্নের উত্তরটি আসলেই জটিল।

গেল ৯ অক্টোবর ঘরের মাঠে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পরও ৩-৪ গোল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ ঘিরে সমালোচনার গণজোয়ার বয়ে যায়। তিরস্কারে কলুষিত হন ক্যাবরেরা। তবে কোচের মুখে একবিন্দু কৌশলবোধের ছাপও নেই। তার অযৌক্তিক একাদশ নির্বাচন, উদ্দেশ্হীন ফুটবল দর্শনে এএফসি এশিয়ান কাপের স্বপ্ন প্রায় নিভে যায় বাংলাদেশের।

এরপরও কেন ড্রাগআউটে তিনি? হয়তো উত্তরটি বাস্তবতার; কেননা, এত স্বল্প সময়ে নতুন কেউ দায়িত্ব নিতে পারবে না, কোচবিহীন দল বিদেশ সফরে গেলে মনোবল ভেঙে পড়বে। তাই “নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো”—এই দার্শনিক আপ্তবাক্যেই হয়তো চূড়ান্ত বিদায়ের আগ মুহূর্তে টিকে আছেন ক্যাবরেরা।

কিন্তু সিন্ডিকেট নামের যে রহস্যময় বলয় ফুটবলের প্রতিটি কোণায় ছায়া ফেলেছে, ক্যাবরেরার বিদায়ে কি ভাঙছে সেই সিন্ডিকেট? উত্তর হচ্ছে, হয়তো না। কারণ, সেই বলয়ের শিকড় অনেক গভীরে, সহজে ভাঙা কঠিন। তবুও দাবার বোর্ডে একটি মাত্র পেয়াদাও কখনও কখনও খেলার গতি বদলে দেয়, হয়তো এবার সেই সুযোগের অপেক্ষাই করছেন লাল-সবুজের ফুটবলপ্রেমীরা। 

যেমন বাংলাদেশ নারী দলের হেড কোচ পিটার বাটলার— একা, দৃঢ় হাতে আর নির্ভীক মননে নারী ফুটবলের হাল ধরেছিলেন। খেলোয়াড়দের সঙ্গে লড়াইয়ে পিছপা হননি, শেষপর্যন্ত তার নেতৃত্বেই ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। হামজাদের সামনেও আজ সেই একই মোড়। তবে প্রশ্ন এখন একটাই, বাফুফে কি সেই সাহস দেখাবে?