Image description

আট মিনিটের বিদ্যুৎ-বিভ্রাটকে রাজনৈতিক পক্ষপাত উল্লেখ করে কলিজা ছেঁড়ার হুমকি দিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

শনিবার রাতে পঞ্চগড়ে চাঁদাবাজি, দখলদারি, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এনসিপির পথসভা চলাকালে ওই ঘটনাটি ঘটে।

এ সময় সারজিস বলেন, ‘একবার নয়, দুইবার নয়, এবার নিয়ে তিনবার এনসিপির সভা চলাকালে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। নেসকোর মালিক ও তার ‘বাপকে’ জবাব দিতে হবে—এনসিপির প্রোগ্রামের সময় এটা হয় কেন? যারা এই কাজ করেছে .....মূলত রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব—তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব। এরপর দেখব পঞ্চগড়ের নেসকোর দায়িত্বে কে আছে।’

খোঁজ নিয়ে নেসকোর কন্ট্রোল রুমের অভিযোগ রেজিস্ট্রারে দেখা যায়, ওই সময় (রাত ৯টা ১৬ মিনিটে কলেজ ফিডারের আওতায় বৈশাখী মোড় এলাকায় একটি ট্রান্সফরমারে আগুন লাগায় একজন গ্রাহক নেসকোর কন্ট্রোল রুমে বিদ্যুৎ বন্ধের জন্যে ফোন করেন। আগুন ধরার খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক বৈদ্যুতিক লাইনটি শাটডাউন করতে বাধ্য হন।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) সহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ৯টা ১৮ মিনিটে বৈশাখী মোড় এলাকায় আমাদের একটি ট্রান্সফরমারে আগুন লাগে। বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে আমরা বৈদ্যুতিক লাইনটি বন্ধ করি।’

 

‘পরে আমাদের কারিগরি টিম দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ৯টা ২৮ মিনিটে সংযোগ পুনরায় সচল করে। অর্থাৎ মাত্র কয়েক মিনিট বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ ছিল।’

 

নুরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘প্রোগ্রামের বিষয়ে আমাদের আগে থেকে জানানো হয়নি। ঘটনাটি ছিল একটি দুর্ঘটনাজনিত কারিগরি সমস্যা।’ এর বাইরে কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।

 

এ বিষয়ে ওই এলাকার (বৈশাখী মোড়) বাসিন্দা সায়েম সরকার বলেন, ‘সেই সময় আমি বাড়িতে খেতে বসেছিলাম। হঠাৎ দেখি বাইরে সবাই চিৎকার করছে—বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারের তারে আগুন লেগেছে। আমরা তাড়াহুড়ো করে বাইরে চলে যাই। আমি বিদ্যুৎ অফিসের ফোন দিলে তারা সঙ্গে সঙ্গে লাইন বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর আবার সংযোগ চালু করে।