Image description

বুধবার (১৬ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। জবাবে ২১ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। প্রথম বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মারেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তবে বিপর্যয়ের মধ্যে ব্যাট হাতে দায়িত্ব নেন অধিনায়ক লিটন দাস। তিনে নেমে তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটিতে আসে ৭৪ রান। চাপের মুখে ২৬ বলে ৩২ রানের কার্যকর ইনিংস খেলে বিদায় নেন লিটন।

টাইগার দলপতি ফিরলেও ২৭ বলে ঠিকই ফিফটি তুলে নেন তামিম। এই ইনিংস খেলার পথে ৫ ছক্কা, এক বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে তানজিদের পঞ্চম ফিফটি এটি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম।

হাফ-সেঞ্চুরির পর আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেন তামিম। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। শেষ পর্যন্ত আর কোনো বিপদ হতে না দিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে এই জুটি। ৬ ছক্কা ও ১ চারে তামিম ৭৩ এবং সমান একটি করে চার-ছক্কায় ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই শুরুটা করেছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। তবে ইনিংসের ৪ দশমিক ৩ ওভারেই কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা ও দীনেশ চান্দিমালের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

শরিফুলের করা ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেছিলেন কুশল মেন্ডিস। তবে শট ডিপ স্কয়ার লেগে তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ বনে ৪ বলে ৬ করে ফেরেন তিনি। 

পরের ওভারেই আঘাত হানেন শেখ মেহেদী। তার ঘূর্ণিতে স্লিপে তামিমকে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন কুশল পেরেরা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে চান্দিমালকেও বিদায় করেন মেহেদী। তাকে মিড-অনে খেলতে গিয়ে সোজা আকাশে বল তুলে দেন। জাকের আলীর মুঠোবন্দি হয়ে ৫ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।

এরপর দলকে চাপ মুক্ত করে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কা। তবে পরের ওভারে মেহেদীর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন আসালাঙ্কা। ৮ বল মোকাবিলায় মাত্র ৩ রান করতে পেরেছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক।

নিজের শেষ ওভারেও উইকেট তুলে নেন এই অফস্পিনার। ইনিংসের ১১তম ওভারে একপ্রান্ত ধরে লড়াই করতে থাকা নিশাঙ্কাকে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফেরান মেহেদী। ৩৯ বলে ৪৬ রান করেন লঙ্কান এই ব্যাটার।

এরপরও চাপ কাটিয়ে উঠার আভাস দিচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে টাইগার শিবিরে চাপ বাড়ানোর আগেই কামিন্দুকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শামীম হোসেন। তাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো তানজিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৫ বলে ২১ রান করে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার।

এরপর উইকেট মিছিলে যোগ দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফিজের করা বলটি মিড-অফে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন ভ্যান্ডারস। তবে স্লোয়ারে তানজিমের হাতে ধরা পড়েন এই ব্যাটার (১৪ বলে ৭)।

শেষদিকে টাইগার বোলারদের ওপর রীতিমত ঝড় তুলেন দাসুন শানাকা। শরিফুলের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ২০ রান তুলেন এই ব্যাটার। তার ২ ছক্কা আর ৪ চারে ২৫ বলে ৩৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।