
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে নিয়ে এশিয়া কাপ আয়োজন এখন অনিশ্চয়তায় ঘেরা। সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার মনে করেন, এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান দল এশিয়া কাপে অংশ নেবে না।
এ বছরের শেষ দিকে ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে এই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা থাকলেও, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে তা এখন ঝুঁকির মুখে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস টু-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাভাস্কার বলেন, "আমি পাকিস্তানকে এশিয়া কাপে দেখছি না। "
তিনি আরও বলেন, বিসিসিআই সবসময় ভারত সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করে এবং এই ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তার মতে, যদি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্কের উত্তেজনা না কমে, তাহলে পাকিস্তান দল এশিয়া কাপে অংশ নেবে না।
"বিসিসিআই সবসময় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে। যদি পরিস্থিতি না বদলায়, তাহলে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ সম্ভব নয়," বলেন গাভাস্কার।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ভেঙে যেতে পারে?
গাভাস্কার আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি এখন এই সংস্থার সভাপতির দায়িত্বে থাকায় নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
"এমনও হতে পারে যে এসিসি ভেঙে দেওয়া হবে এবং তিন বা চার দলের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। সেখানে হংকং বা সংযুক্ত আরব আমিরাতকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে," মন্তব্য গাভাস্কারের।
তার মতে, ভারত যদি এসিসি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়, তবে অন্য দেশগুলিকে নিয়ে স্বতন্ত্র একটি চার বা পাঁচ দলের টুর্নামেন্ট আয়োজন করাও সম্ভব। সেই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা বা আফগানিস্তানে হতে পারে, যদিও আয়োজক হিসেবে থাকবে ভারতই।
"যুদ্ধের আবহে খেলাধুলা কঠিন"
পাক-ভারত সম্পর্কে বিদ্যমান উত্তেজনার প্রসঙ্গে গাভাস্কার বলেন, "যখন দুটি দেশ নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে লিপ্ত থাকে, তখন একসঙ্গে খেলাধুলা করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। "
তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই পরিস্থিতিতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ভবিষ্যৎও অন্ধকার।
পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর বিসিসিআই-এর সহসভাপতি রাজীব শুক্লাও জানিয়েছিলেন, “ভারত কখনওই পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না। ”