
ঈদ মানেই বাড়তি আনন্দ। এ উৎসবে সবাই চান পরিবারের কাছাকাছি থাকতে। অবশ্য কখনো কাজের প্রয়োজনে, কখনো অন্য কোনো কারণে সব সময় এ সুযোগ পাওয়া যায় না। এই ‘অভাগাদের’ মধ্যে আছেন ক্রিকেটাররাও।আন্তর্জাতিক খেলার ব্যস্ততায় কখনো কখনো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ঈদ কাটাতে হয় বিদেশেও। এবার অবশ্য এ জায়গায় কিছুটা স্বস্তিতেই আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। রমজান মাসজুড়ে তাঁদের ছিল প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের ব্যস্ততা। এখন ঈদুল ফিতরের জন্য ১০ দিনের ছুটি।এ জন্য প্রায় সবাই গ্রামে ছুটে গেছেন ঈদ করতে। মুঠোফোনে কথা হয় তরুণ পেসার নাহিদ রানার সঙ্গে। ফোনের ওপাড়ে তাঁকে বেশ ব্যস্তই মনে হলো—পরিবারে সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তিনি।ঈদটা কেমন কাটবে? এই প্রশ্নে নাহিদের উত্তর, ‘আগের মতোই। সকালে নামাজ পড়ে এসে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব আর বিকেলে সময় দেব বন্ধুদের।’জাতীয় দলের ওপেনার তানজিদ হাসান আছেন বগুড়ায়। শৈশবের বেড়ে ওঠার স্মৃতি খুঁজে পেতে ব্যস্ত তিনি। বিভিন্ন ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়েছেন, আড্ডা দিচ্ছেন বন্ধুদের সঙ্গে।
তানজিদের সঙ্গেই ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ জেতা আরেক পেসার শরীফুল ইসলাম আছেন পঞ্চগড়ে। নানাবাড়িতে গিয়ে মাছ ধরার একটি ভিডিও দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।নারী দলের ক্রিকেটারদের অবশ্য সেই ভাগ্য হচ্ছে না। আগামী ১০ এপ্রিল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এর প্রস্তুতি ২২ মার্চ শুরু হয়েছে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।৩ এপ্রিল সকালেই মেয়েদের উড়াল দিতে হবে লাহোরের উদ্দেশে। ঈদে তাই পরিবার ছেড়ে ঢাকায়ই থাকতে হচ্ছে নারী ক্রিকেটারদের।কথাটা মনে করে অধিনায়ক নিগার সুলতানার কণ্ঠে একটু আক্ষেপ, ‘সুযোগ পেলে শেরপুরে গিয়েই ঈদ করি। এবার ক্যাম্পের কারণে তা হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই একটু মন খারাপ তো থাকবেই।’