Image description

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৬) হত্যা ও তার স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেফতার আসামি লিমন মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করার সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাজপাড়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান এবং আদালত পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতের বাইরে অবস্থান করছিলেন।

ওসি হাবিবুর রহমান জানান, দ্বিতীয় দফার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার বিকেলে আসামি লিমন মিয়াকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মামুনুর রশিদ বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আসামি লিমন মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাত পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে লিমন মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তিনি জানান, পূর্বপরিচিত থাকলেও বিভিন্ন কারণে বিচারকের পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লিমন বিভিন্নভাবে হুমকি দেন তাদেরকে। এ ঘটনার পর গত এক সপ্তাহ আগে বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার সিলেটের একটি থানায় লিমনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ক্ষোভ থেকেই পরিচয় গোপন করে বিচারকের ভাই পরিচয়ে তাদের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে লিমন।
জবানবন্দিতে লিমন আরও জানায়, বাসায় ঢোকার পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাসমিন নাহার পুলিশে ফোন করতে চাইলে তাকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাত ও কামড় দেয়।

রাজশাহী মহানগর কোট পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল লিমনকে কোর্টে হাজির করা হয়। এরপর সে তার জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে

উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের শহরের তেরখাদিয়া ডাবতলার ভাড়া ফ্ল্যাটে ঢুকে তার স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসী ও ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাত করে আসামি লিমন মিয়া। তাদের তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাওসিফ রহমান সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর আহত অবস্থায় লিমন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরদিন বিচারক আব্দুর রহমান লিমন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে নগরীর রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

শীর্ষনিউজ