Image description

চাঁদাবাজি মামলায় নিজের নাম দেখে মামলা করতে থানায় আসা বাদীকে মারধর করেন পুলিশ সুপার শিবলী কায়সার। এমনকি তাকে গুলি করতে পুলিশ কনস্টেবলের অস্ত্র নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক উপকমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে ঘুষ–বাণিজ্যের অভিযোগে থানায় মামলা করতে আসা বাদী মো. পলাশ হাসানকে মারধরের প্রমাণ মিলেছে। পাশাপাশি মারধরের সময় থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য মোছা. মৌসুমি আক্তারের কাছ থেকে রাইফেল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা, পুলিশ পাঠিয়ে বাবা–ছেলেকে থানায় নিয়ে যাওয়া ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার যে অভিযোগ ছিল, সেটারও সত্যতা পাওয়া গেছে।

এছাড়া, প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে উপকমিশনারের কার্যালয়ে যাওয়া বাবা মো. মাহবুব আহমেদ ও ছেলে হাবিবুর রহমানকে গালাগালি, পুলিশ সদস্যকে লাঠি আনার নির্দেশ ও তাদের মারতে উদ্যত হওয়ার অভিযোগের আংশিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটি।

এর বাইরে, এসপি শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। নিজের মনগড়া তথ্য দিয়ে ভুয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার মতো ঘটনাও পুলিশ সদর দফতরের নজরে এসেছে।

বাদীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করলেও কথিত ২টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরির বিষয়টি এসপি শিবলী স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি পৃথক দুটি প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ সদর দফতরে পাঠিয়েছিলাম। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনের কাছে না দিয়ে সরাসরি সদর দফতরে পাঠানোর মধ্যে ভুল হলে আমাকে শোকজ করা যেতো। কারণ, এসপি হিসেবে এটা ছিল আমার পদায়ন।

পুলিশ সদর দফতর জানায়, জেলার এসপিরা সরাসরি পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর গোপন প্রতিবেদন দিয়ে থাকেন। আর মেট্রোপলিটনে কমিশনারের কাছে এ ধরনের প্রতিবেদন দিতে হয়। উনি যাচাইবাছাই করে সেটা আইজিপির কাছে পাঠান। এতে প্রতিবেদনের গোপনীয় রক্ষা হয়।

শীর্ষনিউজ