এশিয়ান কাপ বাছাই ফুটবলে গ্রুপ পর্ব থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশ ঢাকায় তিনটি ম্যাচ খেলেছে। তিনটি হোম ম্যাচে টিকিট বিক্রি ও স্পন্সর থেকে বাফুফের কতো আয় হয়েছে—এ নিয়ে আগ্রহ ছিল অনেকের।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় সেই তথ্য জানানো হয়েছে। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ থেকে মোট আয় হয়েছে ৩ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কনফারেন্স রুমে সভাপতি তাবিথ আউয়াল সভা পরিচালনা করেন। সভা শেষে বাফুফে সদস্য ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু আয়ের কথা জানালেও ব্যয় কত তা বলতে পারেননি।
সংবাদমাধ্যমকে এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের ম্যাচে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচে ১ কোটি ২ লাখ ৭ হাজার ৮৭৪ টাকা ও বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে। এরপর হয়তো আরও কিছু খরচ আছে, সেই খরচগুলো আমরা পরবর্তী সময়ে জানাবো।’
এরপরই আমিরুল যোগ করেন এভাবে, ‘ব্যয় নিয়ে কাজ চলছে। আপনারা বলেছেন এ জন্য আয় জানালাম।’
যদিও ব্যয়ের হিসাব নিয়ে শুরুতে আমিরুল ইসলাম তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে অবশ্য সামলে নেন।
এদিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে বাফুফেকে আটটি স্টেডিয়াম বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে সিলেট জাতীয় স্টেডিয়ামকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে বাফুফে। আমিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সিলেট স্টেডিয়ামে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলার জন্য আজকের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফিফার কাছে বলা হবে। সিলেটে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলার জন্য ফিফার সহযোগিতা আমরা চাইবো।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে বরাদ্দপ্রাপ্ত সব স্টেডিয়ামই বাফুফে পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২২টি এজেন্ডা থাকলেও সময় স্বল্পতায় সব নিয়ে আলোচনা হয়নি।