Image description
 

সিরিজের শেষটাও জয় দিয়ে রাঙাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা পারল না। শেষ ম্যাচে বাজে ক্রিকেট খেলায় অপূর্ণ থেকে গেল লিটনদের চাওয়া। সিরিজ শেষ হলো ২-১ ব্যবধানে। তৃতীয় ম্যাচটি পাকিস্তান জিতেছে ৭৪ রানে। এই জয় দিয়ে ছন্দ ফিরে পেলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। আর বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ফিরে গেলেন পুরোনো ছন্দে। এ থেকে বোঝা গেল, ভালো উইকেটে কম সময়ই ভালো করতে পারে বাংলাদেশ।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে মনের মতো উইকেট না পেয়ে হাত খুলে খেলতে পারেননি সালমান আগারা। তাদের প্রত্যাশা ছিল, শেষ ম্যাচটি অন্তত ভালো উইকেটে খেলা। অতিথিদের আশা পূরণ করেছে বিসিবি। ব্যাটিং উইকেটে খেলতে দিয়েছে একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনে। পছন্দের কন্ডিশন পেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশকে হারিয়েছে ৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। বিসিবি এমন সুযোগ দেওয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির খুশি হওয়ার কথা। বাংলাদেশের কাছে অন্তত হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরতে হলো না তাঁকে।

 
 

ভালো উইকেটে ভালো করতে পারে না বাংলাদেশ। লিটন কুমার দাসরা শক্তিশালী বোলিংও মোকাবেলা করতে পারেন না। এদিক থেকে পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসনের দাবি সঠিক। দেশের মাটিতে স্লো ও লো উইকেটে খেলে বিদেশে ভালো করতে পারবে না বাংলাদেশ। হেসন হয়তো জানেন না ভালো বা ব্যাটিং উইকেট লিটনদের জন্য বিভীষিকার।

মিরপুরে প্রথম দুই ম্যাচ স্লো ও লো উইকেটে খেলা হয়। বাংলাদেশ অলআউট ক্রিকেট খেলে সিরিজ জিতে নেয়। সুযোগ এসেছিল পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো টি২০তে হোয়াইটওয়াশ করার। বিসিবি কেন সে সুযোগ নেয়নি সে প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে। উইকেট ব্যাটিংবান্ধব ও একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। বেশি কথা হচ্ছে লিটন কুমার দাসদের ব্যাটিং প্রদর্শনী নিয়ে। স্লো উইকেটে রান করতে পারলেও ব্যাটিং ট্র্যাকে কেউ দাঁড়াতেই পারেননি।

টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন লিটন। ব্যাটিং উইকেট পেয়ে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে সফরকারী দলের ওপেনিং জুটি। ফখর জামানের জায়গায় ওপেন করতে নামা শাহিবজাদা ফারহান দারুণ ব্যাটিং করেন। সিয়াম আইয়ুবকে নিয়ে ৪৭ বলে ৮২ রানের জুটি গড়েন তিনি। ওপেনাররা প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক খেলায় পাওয়ার প্লেতেই বড় ইনিংসের ভিত গড়ে ওঠে। ৬ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫৭ রান করে পাকিস্তান। ষষ্ঠ ওভারে তাসকিন আহমেদকে বেধড়ক পিটিয়ে ১৫ রান যোগ করে তারা। স্লগ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে দুই ছক্কা হাঁকান শাহিবজাদা। পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। সিয়াম আইয়ুবকে ২১ রানে আউট করেন তিনি। শাহিবজাদা আউট হন দলীয় ৯৩ রানে। ১৫৩.৬৫ স্ট্রাইকরেটে ৪১ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। ছয়টি চার ও পাঁচটি ছয় দিয়ে ইনিংসটি সাজান তিনি। মিডলঅর্ডারে হাসান নেওয়াজ ১৭ বলে ৩৩ আর মোহাম্মদ নেওয়াজ ১৬ বলে ২৭ রান করায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।