সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা নতুন করে শুরু করব।’ সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজ আরও লেখেন, ‘ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং সততা নিয়ে আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক সমাধানের দিকে এগিয়ে যাব। আসুন আমরা একটি দীর্ঘ যাত্রা শুরু করি। জুলাইয়ের জন্য, যুবসমাজের জন্য এবং বাংলাদেশের জন্য। আমরা আপস করব না।’
এর আগে রবিবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অংশ হচ্ছেন না বলে জানান মাহফুজ আলম। ‘আমার রাজনৈতিক অবস্থান’ শীর্ষক ওই পোস্টটিতে তিনি লেখেন:
১. নাগরিক কমিটি ও এনসিপি জুলাইয়ের সম্মুখসারির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। এ দুটি সংগঠনে আমার জুলাই সহযোদ্ধারা থাকায় গত দেড় বছর আমি চাহিবামাত্র তাদেরকে পরামর্শ, নির্দেশনা এবং পলিসিগত জায়গায় সহযোগিতা করেছি।
২. আমার অবস্থান স্পষ্ট। নূতন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াই, সামাজিক ফ্যাসিবাদ মোকাবেলা, রিকন্সিলিয়েশন, দায়-দরদের সমাজ সহ- অনেক কথাই আমি বলেছি। যেগুলো আমার জুলাই সহযোদ্ধারা উক্ত দুটি সংগঠন থেকে বারবার বলেছেন। কিন্তু তারা এগুলো ধারণ করতেন? এনসিপিকে একটা বিগ জুলাই আম্ব্রেলা আকারে স্বতন্ত্র উপায়ে দাঁড় করানোর জন্য আমি সকল চেষ্টাই করেছি। কিন্তু অনেক কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।
৩. বিদ্যমান বাস্তবতায় আমার জুলাই সহযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান, স্নেহ এবং বন্ধুত্ব মুছে যাবে না। কিন্তু আমি এ এনসিপির অংশ হচ্ছি না। আমাকে জামায়াত-এনসিপি জোট থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়নি, এটা সত্য নয়। কিন্তু ঢাকার কোন একটা আসনে জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চাইতে আমার লং স্টান্ডিং পজিশন ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
৪. ইতিহাসের এ চলতি পর্বে বাংলাদেশ একটা শীতল যুদ্ধে আছে। এ পর্বে কোন পক্ষ না নিয়ে নিজেদের বক্তব্য ও নীতিতে অটল থাকাই শ্রেয়। বিকল্প তরুণ/ জুলাই শক্তির সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বরং আমি গত দেড় বছরে যা বলেছি, যে নীতিতে বিশ্বাস রেখেছি, তা অব্যাহত রাখব। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সকল উপায়ে। If you care to join me, you are most welcome.
নূতন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব ও বাস্তব। বিকল্প ও মধ্যপন্থী তরুণ/ জুলাই শক্তির উত্থান অত্যাসন্ন।
এদিকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে মাহফুজ আলমের নামে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তিনি নির্বাচন করবেন না এবং ফরম সংগ্রহ করায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বলে জানান তার ভাই এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম।