Image description
 

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সমীকরণে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে পটুয়াখালী-২ আসনে। বাউফল উপজেলা নিয়ে গঠিত নির্বাচনি এলাকায় বিএনপিতে জেঁকে বসছে হতাশা। নেতাকর্মীদের একাংশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সমঝোতা করতে চায় বলে জানা গেছে।

 

স্থানীয় কয়েক নেতা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে দাঁড়িপাল্লার প্রার্থী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগও করছেন। ইতোমধ্যে মঙ্গলবার জামায়াতে যোগ দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নাজিরপুর ইউনিয়ন শাখার সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন মুন্সী।

 

মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার সূর্য্যমনি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত দাঁড়িপাল্লার উঠান বৈঠকে স্থানীয় জনগণ ও নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে জামায়াত প্রার্থী ড. শফিকুলের হাতে হাত রেখে দল পরিবর্তন করে হেলাল মুন্সী।

এমনকি শিগগিরই তার নেতৃত্বে বিএনপি স্থানীয় বেশ কিছু নেতাকর্মী জামায়াতে যোগ দেবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।

এদিকে প্রভাবশীল বিএনপি নেতা হেলা মুন্সীর দল ত্যাগের খবর পেয়েই তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বহিষ্কার করেছে তার দল। গতকাল বাউফল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজের স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জামায়াতে যোগ দেওয়ার সময় হেলাল মুন্সী বলেন, তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করেন। তিনি উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির বর্তমান সদস্য এবং নাজিরপুর ইউনিয়নের সহসভাপতি হিসেবে কাজ করছিলেন। এখন তিনি জামায়াতের সঙ্গে থেকে ইসলামের খেদমতে বাকি জীবন উৎসর্গ করতে চান। তিনি সবার দোয়া কামনা করেন এবং ভবিষ্যতে নাজিরপুর ইউনিয়নে জামায়াতের পক্ষে ব্যাপক ভোটের ব্যবধান তৈরি হবে।

যোগদান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল নবাগত নেতাকে স্বাগত জানান এবং সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

হেলাল মুন্সীর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানকে কেন্দ্র করে বাউফল উপজেলায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, এই যোগদানের ফলে আসন্ন নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে জনসমর্থন জোরদার হবে।