Image description
 

ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডসহ খুলনার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিরুদ্ধে গড়ে তোলা আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে খুলনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ ও সদস্য সচিব জহুরুল তানভীর এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ ছড়িয়ে দেয়া হয়।

সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ধারাবাহিক অবনতি ও এসআই সুকান্তকে অবৈধভাবে ছেড়ে দেয়ার প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতেই এমন ষড়যন্ত্র করা। সেই ষড়যন্ত্রের ফলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।

জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি এবং এসআই সুকান্তকে গ্রেপ্তারের পর অবৈধভাবে ছেড়ে দেয়াসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আন্দোলন শুরু করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই আন্দোলন চলাকালে ২০২৫ সালের ৬ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি কথিত ভিডিও এবং অডিও ক্লিপ প্রচার করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, আজাদ ও এক ব্যবসায়ী মন্টুর মধ্যে কথিত “চাঁদা দাবির” আলাপ হয়েছে।

তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে-প্রচারিত অডিওর সঙ্গে বাস্তব ঘটনার কোনো মিল নেই। বরং এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি ও প্রচার করা হয়েছে আন্দোলনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য।

ব্যবসায়ী মন্টু বলেন, ওই পরিস্থিতিতে মেলা আয়োজনের সময় আজাদ ও তানভীর আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তারা কখনো বাধা দেননি, চাঁদা দাবি বা টাকা লেনদেনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। যদি এমন কিছু হতো, তাহলে আমি আইনের আশ্রয় নিতাম।

এ বিষয়ে আরও জানতে অপর মেলা ব্যবসায়ী রাসেল বলেন, আজাদ ও তানভীর সব সময় সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করেছেন। তারা কখনো কোনো দাবি করেননি বা সুবিধা নিতে চাননি। বরং আমাদের ব্যবসায়িক পরিবেশ ঠিক রাখতে আন্তরিকভাবে পাশে ছিলেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনায় সামাজিক ন্যায্যতা ও সমতার পক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠেছে, যা কতিপয় প্রভাবশালী মহলের স্বার্থে আঘাত হানছে। ফলে তাদের নেতৃত্বকে বিতর্কিত করতে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইতিমধ্যে আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ঘটনার পেছনে কারা জড়িত তা অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে।

তাদের ভাষায় আমাদের আন্দোলন বৈষম্য, অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে। ভয়ভীতি বা অপপ্রচারে আমরা থামব না। সত্য প্রকাশ পাবে, এবং মানুষই ঠিক করবে কারা ন্যায়পথে আছে।

শীর্ষনিউজ