গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে থানার ওসির কাছে আবেদন (দরখাস্ত) করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ৭ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। গত সোমবার (২৪ নভেম্বর) আবেদনটি করেন উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওই ৭ সদস্য। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় আলোচনার ঝড় ওঠে।
ইউপি সদস্যরা হলেন মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কবির মোল্যা, ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জাহিদুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ঈমান আলী, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাদিকুর রহমান সাদেক, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মজিবর ফকির, সংরক্ষিত ১, ২, ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রেহানা আক্তার লাকী এবং ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হেনা আক্তার।
আবেদনে তাঁরা লেখেন, ‘আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারী ৮ নম্বর মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত (সদস্য) জনপ্রতিনিধিগণ লিখিতভাবে আপনাকে অবগতি করছি, আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুকসুদপুর শাখার কোনো প্রকার কার্যক্রমে বর্তমানে জড়িত নাই এবং ভবিষ্যতেও থাকব না।’
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য কবির মোল্যা বলেন, ‘বিগত দিনে আওয়ামী লীগ একটি শুদ্ধ রাজনৈতিক দল ছিল। যে কারণে আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ দল। এই দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে হয়তো আমাদের পরিষদ থেকে দূরে থাকতে হতে পারে। এতে জনগণের ভোগান্তি হবে। এমন ধারণা করে আমরা ওসির কাছে আবেদন করেছি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আর থাকব না।’
আরেক ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওসির কাছে আমাদের আবেদন দেওয়াটা উচিত হয়নি। একটি সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা উচিত ছিল। আমরা ইউপি সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছি।’
তবে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল আবেদন পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাঁরা থানায় এসেছিলেন। তখন তাঁদের কাছে এলাকার খোঁজখবর নিলে তাঁরা জানান, এলাকার পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।’
মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি কোনো আবেদনপত্র পাইনি। তাঁরা আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন কি না, সে বিষয়টিও আমার জানা নেই।’
শীর্ষনিউজ