Image description

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেছেন, আগামীর মানবিক, গণতান্ত্রিক ও ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের তরুণ সমাজকে কাজে লাগাতে হবে। এই তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিবেন। তাদের হাতে দেশ পরিচালিত হবে। এজন্য আমার নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই সংস্কার প্রস্তাবে তরুণদের কথা বলা হয়েছে। এই তরুণদের শপথ গ্রহণ করতে হবে। তরুণ সমাজকে বাহিরে রেখে আগামীর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বুধবার (১৯ নভেম্বর) বাদ মাগরিব রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার বাজার চত্বরে তারুণ্যের পদযাত্রা সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

আশরাফ উদ্দিন নিজান আরও বলেন, আমরা মাদককে না বলব। এ নতুন বাংলাদেশে গতানুগতিক রাজনৈতিক আর চলবে না। এখন নতুন রাজনীতি হবে। গত ১৭ বছর একদিনের জন্য আমি বক্তব্য দিতে পারেনি। নিজ জন্মস্থানে আসতে পারিনি। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ তা হতে দেয়নি। এই আলেকজান্ডার বাজার থেকে বিএনপির সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিনসহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে পিটিয়ে চোরের মতো গ্রেফতার করেছে।

নিজান আরও বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আমি বলেছিলাম- মামলা হামলামুক্ত রামগতি-কমলনগর গড়ব। আমি কথা রেখেছি। দুইবার এমপি হয়েছি, কোনো রাজনৈতিক মামলা করতে দেইনি। ৫ আগস্টের পর বিএনপির পক্ষ থেকে এই রামগতি-কমলনগরে একটা মামলাও আমরা করিনি। আমরা প্রতিশোধ নেইনি। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই।

তিনি বলেন, বিগত ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে আমরা বুকে বুক মিলিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। কত নেতাকর্মী খুন হয়েছেন, ঘুম হয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি সরকার গঠন করতে পারে তাহলে মানবিক ও ইনসাফের বাংলাদেশ গড়ব।

আ স ম আব্দুর রবকে ইঙ্গিত করে আশরাফ উদ্দিন নিজান বলেন, ৮৬ সালে আমাদের নেতা আব্দুর রব চৌধুরীকে গ্রেফতার করে ৪৬ জনকে গুলি করে আপনি এমপি হয়েছেন। ১৮ সালে আমরা আপনাকে ধানের শীষ দিয়েছি। এর আগে ৯৬ সালে নৌকা নিয়েছেন, ৮৮ সালে লাঙ্গল নিয়েছেন। বাকি আছে শুধু দাঁড়িপাল্লা। এবার আপনি দাঁড়িপাল্লা নিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রক্ত আর আমাদের রক্ত একাকার হয়ে গেছে। একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। এখন ফাটল কেন?। গত ১৪ মাসে ১৬২টি ওয়ার্ডে গিয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার মা-বোনেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সমর্থন নিয়েই আপনাদের সামনে আসব। আগামীতে আর কোনো স্বৈরাচার আসবে না। আওয়ামী লীগের যারা সাধারণ কর্মী রয়েছেন, তারা আমাদের ভাই, তাদের হয়রানি করা যাবে না। আমাদের তাদের পাশে থাকতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রামগতি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজ উদ্দিনসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।