জাতীয় নাগরিক পাটি এনসিপির কেন্দ্রীয় মূখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিনাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বিএনপির উদ্দেশ্য বলেছেন গুলি খেতে না চাইলে এবং অনিয়ম ঘুষ দূর্নীতি থেকে বাঁচতে চাইলে এনসিপিতে চলে আসুন আমরা আপনাদেরকে সন্মান দেবো। যারা বিগত বছরগুলোতে অন্যায় নির্যাতন জুলুমের স্বীকার হয়েছে তাদের পাশে আমাদের দাড়াতে হবে। বিএনপি জামায়াতে যদি নিরাপদ মনে না করেন তাহলে এনসিপিতে ফিরে আসুন। বাংলাদেশে এখন সময় এসেছে আওয়ামীলীগকে না বলার। এনসিপি যেই অবস্থান নেয় বিএনপি জামাত সেখানে আসতে বাধ্য হয়। এনসিপির জন্ম রাজপথে। তাই আগামীতে যাই কিছুই আসুক তা রাজপথে। বাংলাদেশের পরবর্তী নেতৃত্ব এনসিপি দেবে। আগামী দশবছরের মধ্যে এনসিপি সরকার গঠন করবে। যারা ব্যালটের প্রস্তুতি না নিয়ে বুলেটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আপনাদেরকে বাংলাদেশের জনগন সঠিক সময়ে ব্যালটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে। অস্ত্রের রাজনীতি, চাঁদাবাজির রাজনীতিতে মানুষ অতিষ্ঠ। আগামীর ভোট হবে মাফিয়া, চাঁদাবাজ ও বুলেটের বিরুদ্ধে। যারা ব্যালটের চেয়ে বুলেটকে শক্তিশালী করেছে তাদের বিচার হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরো বলেছেন,সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও জুলাই সনদের বিপক্ষে যারা গিয়েছেন তাদের সাথে আমরা জোট করবো না। এনসিপি জোটে বিশ্বাসী নয়, আমরা নির্বাচনে সিট পুনর্বণ্টনে নয়, রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিশ্বাসী। কোন প্রকার টাকা, গুন্ডা ও পেশি শক্তি ছাড়া আমরা যদি পাঁচশ ভোটও পাই সেটাই আমাদের জন্য অনেক বড় পাওনা। আমরা খেলতে আসিনি আমরা পুরো খেলার নিয়ম পরিবর্তন করতে আসছি। তিনি বলেন, গনভোট দিতে হবে। চুপ্পুর হাত থেকে কোন জুলাইয়ের সনদ আমরা নেবোনা। চুপ্পুর হাত থেকে জুলাই সনদ নেয়া তার চেয়ে বিষ খাওয়া ভালো। আমরা চাইনা পরবর্তী বাংলাদেশে কোন ডিবি হারুন বেনজির জন্ম হোক চাইনা। আমরা এসব মাফিয়াতন্ত্র আর এদেশের মাটিতে তৈরী হতে দেবোনা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সুমিত রায় জিমনেসিয়ামে এনসিপির তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এনসিপি রাঙামাটি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী বিপিন জ্যোতি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সমন্বয়কারী জুবাইরুল হাসান, বিভাগীয় সমন্বয়কারী এ এস এম সুজাউদ্দিন, পার্বত্য অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক ইমন ছৈয়দ, শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক কলিন চাকমা, বান্দরবানের প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুর রহমান সোহেল, খাগড়াছড়ির প্রধান সমন্বয়কারী এডভোকেট মনজিলা ঝুমা প্রমূখ।