Image description
 

চট্টগ্রাম নগরীর দোস্ত বিল্ডিংয়ে আওয়ামী লীগ অফিস দখলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মহানগর নেতারা বলেছেন, পাঁচ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিবাদী দলের সবগুলো কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হলেও দোস্ত বিল্ডিংয়ে অবৈধভাবে অফিস চালাচ্ছিল। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছি। ফ্যাসিবাদীরা যাতে সেখানে আসতে না পারে সেজন্য আমরা অবস্থান নিয়েছিলাম। এটা দখলে নেওয়া হয়।

 

বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় নগরীর ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সমন্বয়কারী এরফানুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠন আওয়ামী লীগের সকল ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও দেশে তাদের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড থেমে নেই। এর অংশ হিসেবে তারা চট্টগ্রামেও বিভিন্ন জ্বালাও-পোড়াও ও অগ্নিসংযোগের সাথে যুক্ত। জাতীয় নাগরিক পার্টি চট্টগ্রামের শান্তিকামী মানুষদের সাথে নিয়ে তাদের এসব নীল নকশা নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছি।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে তারা দোস্ত বিল্ডিংয়ে একত্রিত হয়ে বাকলিয়া এক্সেস রোডে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংগঠিত করার চেষ্টা করে। সেদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আমরা তা প্রতিহত করতে সক্ষম হই।

মহানগর এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক আহবায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। মহানগর জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সমন্বয়কারী রাফসান জানি, যুগ্ম সমন্বয়কারী জসীমউদ্দিন ওপেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, মঙ্গলবার এনসিপি নেতাকর্মীরা নগরীর দোস্ত বিল্ডিংস্থ নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কার্যালয়ে ঢুকে জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং সেখানে বেশ কিছু সময় অবস্থান করে। পরে তারা ওই কার্যালয়ের বাইরে তালা লাগিয়ে দেয়।