Image description

নির্বাচনের আগে হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান।

সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে নগরের ২ নম্বর গেটের একটি কনভেনশন হলে চট্টগ্রামস্থ বান্দরবানবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি আরও বলেন, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম এখন বান্দরবানের সর্বস্তরের মানুষের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পরিণত হয়েছেন। আমরা নতুন একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণের দিকে এগোচ্ছি।

ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তির এক বছর পূর্তি হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের পর জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি। ড. ইউনুস শুরু থেকে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক না কেন, জামায়াতে ইসলামী সবসময় প্রস্তুত। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে, তার আগে জুলাই সনদকে আইনি কাঠামোয় আনতে হবে। দেশের নাগরিকদের চাহিদা পূরণ করতে হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। আগে হাসিনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। হাসিনার বিচার ছাড়া নির্বাচন উৎসবমুখর হবে না।

কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ ও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায়। বান্দরবান-৩০০ আসন থেকে আমরা ঘোষণা দিচ্ছি দেশে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। এতে সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে সবার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।

শাহজাহান বলেন, আবুল কালাম একজন যোগ্য ও সৎ ব্যক্তি। আওয়ামী আমলেও তিনি বারবার জেলাবারে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচন অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই বিপ্লবে ১০৭ জন শিশু জীবন দিয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব। প্রায় ২ হাজার শহীদ ও অসংখ্য আহত গাজীর ত্যাগের কারণে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।

তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, টার্গেটভিত্তিক কাজ করতে হবে। নিজ নিজ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ও তথ্য মুখস্থ রাখতে হবে। মহিলা সমাবেশ, যুব সমাবেশ, উঠান বৈঠক শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। শহর থেকে গ্রামে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। ভোটারদের নার্সিং করতে হবে। অমুসলিম ভাইবোনদের মাঝেও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। আবুল কালামের সততা ও অবদান ঘরে ঘরে তুলে ধরতে হবে। হাউস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দাঁড়িপাল্লার দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের প্রতীক ও নিবন্ধন কেড়ে নিয়েছিল। আল্লাহর কৃপায় আমরা সেই নিবন্ধন ফিরে পেয়েছি। আমাদের নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু তারাই আজ নিষিদ্ধ।

ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় স্কুল-কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাবেক বান্দরবান জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমির এস এম আব্দুস সালাম আযাদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট আবু নাসের, বাইশারী ইউনিয়ন সভাপতি মো. সেলিম, মাওলানা আইয়ুব আলী আনসারী, মহসিন কলেজ সভাপতি খুররম, ছাত্রশিবির বান্দরবান জেলা সেক্রেটারি মোস্তাক আহমেদ, ছাত্রশিবির মহানগর দক্ষিণের সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মামুন, চট্টগ্রাম বারের আইনজীবী ইব্রাহিম মোজাহিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইন উদ্দিন, চাক সম্প্রদায়ের নেতা জীবন চাক, তাওহীদুল ইসলাম তকি, ইউনুস মিয়া, বান্দরবান ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি আসিফ ইকবাল, ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ ও নুরুল আজিজ প্রমুখ।