
ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভলোদিমির জেলেনিস্কিসহ ইউরোপীয় নেতাদের আলোচনার পর ইউক্রেনীয়দের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। আলোচনায় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জোরালো সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
কিয়েভের বাসিন্দা ভেরোনিকা বলেন, ‘যুদ্ধ থামাতে এই আলোচনা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি চাই আমার সন্তানরা শান্তিতে জীবন কাটাক।’ তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এখনো এটি প্রাথমিক ধাপ মাত্র।
বৈঠকে এক পর্যায়ে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্ভাব্য ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ও উঠে আসে। কিন্তু কিয়েভে অনেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশ্যে সন্দিহান। ভেরোনিকার মন্তব্য, ‘কাজ কথার চেয়ে বড় প্রমাণ। আমি চাই পরিস্থিতি ভালো হোক, কিন্তু পুতিনকে পুরোপুরি বিশ্বাস করি না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মিকোলা দাভিদিউক বলেন, আলোচনার ফলাফল ছিল পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো, বিশেষ করে আলাস্কায় হওয়া বৈঠকের তুলনায়। তার ভাষায়, ‘আমরা বিপুল ইউরোপীয় সমর্থন পেয়েছি। এতে প্রমাণ হয়েছে ইউক্রেন একা নয় এবং পুতিন তার মিত্রদের নিয়ে আমাদের বিপক্ষে খেলতে পারবে না। পুতিন ভেবেছিল সে আলাস্কায় জয়ী হয়েছে, কিন্তু গতকাল প্রমাণ হলো সেটি ভুল।’
তবে তিনি মনে করিয়ে দেন, শান্তির পথ সহজ হবে না। ‘সবার ভরসা এখন আশার ওপর। এই সময়ের জন্য আশা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুভূতি, বলেন দাভিদিউক।