৩০ বছর আগের সেই স্মৃতি! বেগম খালেদা জিয়ার অটোগ্রাফ! সেদিন ভাই-বোন বাবার সঙ্গে মঞ্চে উঠেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। দিনটি ছিল ১৯৯৬ সালের ২৩ মে। ঐতিহাসিক গৌরীপুর স্টেডিয়ামে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জনসভা চলছিল। বাবা পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর দুই ভাই-বোন ডায়েরিটা বাড়িয়ে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হাস্যোজ্জ্বলভাবে সেই ডায়েরিতে অটোগ্রাফ দেন। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতও কামনা করেছিলেন।
সেই স্মৃতি দিনলিপি নিয়ে জিনাত আরা মণ্ডল তানি লিখেছেন- বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একজন মমতাময়ী মা। কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেকে সামলিয়ে নেওয়ায় ছিল অকুতোভয় এক সাহস।
সেদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তানি যুগান্তরকে বলেন, সেদিন বুঝি নাই। এই মহাকাব্যের এই মহীয়সীর নারীর স্পর্শ আর অনুভূতি জীবনকে পাল্টে দেয়, দেশকে বদলে দেয়। যার হাত ধরে এ দেশের কোটি মানুষের উন্নয়ন সাধিত হয়। যিনি ছিলেন অদম্য সাহসী, মেধাবী আর জীবন সংগ্রামেও একজন লড়াকু।
ওই দিন তানির সঙ্গে ছিল ছোট ভাই ইয়াসিন ইসলাম মণ্ডল জনি। তারা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি মণ্ডল ও জাহানারা মণ্ডলের সন্তান। গণি মণ্ডল ছিলেন তৎকালীন সময়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তাদের বাড়ি উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নে।
এই ছবি ও অটোগ্রাফের শেষাংশে তানির মন্তব্য- ‘আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের মাটিতে মৃত্যুবরণ করতে চেয়েছিলেন। এতটুকু বলতেই হচ্ছে- তিনি সৌভাগ্যবান। কারণ এই দেশের মাটিতেই সম্মানের সঙ্গে তিনি মৃত্যুকে বরণ করেছেন।’
ওই নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এএফএম নজমূল হুদাকে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য বেগম খালেদা জিয়া আহ্বান জানান। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে মানুষ ভোট দেন। ওই নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী এএফএম নজমূল হুদা ৩৭ হাজার ১১৪ ভোটে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিবুর রহমান ফকির পান ৩১ হাজার ৮২৫ ভোট ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে নুরুল আমিন খান পাঠান ২১ হাজার ১৬৩ ভোট পান।