ভারতের উত্তরাখণ্ডে ত্রিপুরার এক চাকমা শিক্ষার্থীকে ‘চাইনিজ’ বলে হত্যা করা হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তরা বর্ণবিদ্বেষমূলক গালি দিয়ে অ্যাঞ্জেল চাকমা নামের সেই শিক্ষার্থীর ওপর ছুরি হামলা চালায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডকে ‘জাতীয় লজ্জা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। খবর এনডিটিভির।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেয়া এক দীর্ঘ পোস্টে অ্যাঞ্জেল চাকমার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। লিখেছেন, ‘এটি শুধু একটি মর্মান্তিক ঘটনা নয়, এটি জাতীয় লজ্জা। তিনি নাগরিকদের প্রতি এমন একটি সমাজ গড়ে তোলার আহ্বান জানান যেখানে ‘কোনো ভারতীয়কে নিজের দেশেই বিদেশি বলে মনে করানো হবে না’।
থারুর লিখেছেন, ‘ত্রিপুরার একজন গর্বিত ভারতীয় তরুণ, বর্ণবিদ্বেষমূলক গালিগালাজের শিকার হয়েছেন। চাইনিজ ও মোমোর মতো শব্দ ব্যবহার করে তাকে অমানবিক আঘাত করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করা হয়।’
বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার মতে, এই হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনা নয়। বরং এটি অজ্ঞতা, কুসংস্কার এবং সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত পরিণতি।
এদিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অন্যতম আসামি নেপালের কাঞ্চনপুর জেলার বাসিন্দা যজ্ঞরাজ অবস্থি এখনও পলাতক। তার গ্রেপ্তারে সহায়তার জন্য তথ্য চাওয়া হয়েছে।
জনরোষ বাড়তে থাকায় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে দোষীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
ভারতে অবশ্য এমন মর্মান্তিক ঘটনা এখন অহরহ ঘটছে। কখনো বাংলাদেশি, কখনো রোহিঙ্গা আবার কখনো চাইনিজ সন্দেহে একের পর এক ভারতীয় নাগরিককে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিহার, ওড়িশা ও কেরালা রাজ্যে এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তবে দেশটির সরকার এ বিষয়ে নিশ্চুপ।
শীর্ষনিউজ