ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্বরের নাম পরিবর্তন করে শহীদ হাদি চত্বর নাম রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও জুলাই আন্দোলনবিরোধী ৫ শিক্ষকের অপসারণের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুমার নামাজ শেষে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জয়বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা চত্বরের নাম পরিবর্তন করে শহীদ হাদি চত্বর নামফলক টানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এখন থেকে জয়বাংলা চত্বরের নাম শহীদ হাদি চত্বর নামে ডাকা হবে বলে তারা ঘোষণা দেন। পরে সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দোয়া ও মোনাজাত করেন।
পরে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্নার ও বঙ্গবন্ধুর বই সরিয়ে নেওয়া, প্রতিটি অফিস থেকে শেখ মুজিবের ছবি অপসারণ এবং জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারী ৫ শিক্ষকের অপসারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।
ওই ৫ শিক্ষক হলেন, জয়নব বিনতে হোসেন, ইমদাদুল হক শরীফ, সোলাইমান হোসেন মিন্টু, হাবিবুর রহমান ও জাকিয়া সুলতানা মুক্তা।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান শান্ত বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি খুন, গুম, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের প্রতিবাদ করে যাচ্ছিলেন। ভারতীয় অধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সহযোগিতায় হাদিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, জুমার নামাজের পর মসজিদে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেছি। এরপর আমরা বিক্ষোভ মিছিল করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জয়বাংলা চত্বরের নাম পরিবর্তন করে শহীদ হাদি চত্বর নামকরণ করেছি। এখন থেকে এটি শহীদ হাদি চত্বর নামে হবে।