Image description

কক্সবাজারের রামুতে অভিযান চালিয়ে ভারী আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগাজিন রাখার বিপুল পরিমাণ বাউন্ডলি (ম্যাগাজিন বাঁধার বেল্ট) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং একটি মিনি পিকআপ গাড়ি জব্দ করা হয়। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংছড়ি রাস্তার মাথা নামের এলাকায় এ অভিযান চালায় পুলিশ।

গ্রেপ্তার যুবকেরা হলেন বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের কম্বুনিয়া এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. শাহজাহান (২৫), আশারতলী এলাকার বদিউজ্জামানের ছেলে মো. ইলিয়াছ (১৯) ও ঘিলাতলী এলাকার এম এ সামাদের ছেলে আতিকুর রহমান (২৫)।

রামু থানার পুলিশ জানায়, পুলিশ গোপন সংবাদে জানতে পারে কিছু লোক মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থানরত সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জন্য অস্ত্রের সরঞ্জাম নিয়ে রামু হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির দিকে যাচ্ছে। তখন রামু থানা-পুলিশ নাইক্ষ্যংছড়ি রাস্তার মাথা এলাকায় অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি বসায়। একপর্যায়ে রাত পৌনে দুইটার দিকে একটি মিনি পিকআপকে থামার সংকেত দিলে চালক গাড়ি ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ গাড়ির চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পিকআপ গাড়িটি তল্লাশি করে ৩২টি প্লাস্টিকের সাদা বস্তায় রাখা ১ হাজার ৬০০ পিস বাউন্ডলি উদ্ধার করে। এটি সামরিক সরঞ্জাম রাখার কেস হিসেবেও পরিচিত। যা বুকের নিচ থেকে কোমর পর্যন্ত পেঁচিয়ে বাঁধা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার যুবকেরা বাউন্ডলি মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থানরত মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আদালতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।