পরিবারের সিদ্ধান্তে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে শুক্রবার রাত ৮টা ৫ মিনিটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আইসিইউ সংবলিত বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলো।
এর আগে আজ জুমার নামাজ শেষে বিজয়নগর কালভার্ট রোড এলাকায় প্রচার চালানোর প্রস্তুতিকালে দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে তিনি আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছিলেন, হাদিকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিল। পরে তাকে সিপিআর দিতে হয়। তার মাথার ভেতরে গুলি থাকার পাশাপাশি কানের আশেপাশেও গুলির আঘাত রয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের অন্যতম নেতা আব্দুল আল নোমান ঢামেকে সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমে তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। মোটরসাইকেলে চড়ে দুইজন এসে গুলি করে পালিয়ে যায়। ওসমান হাদি কানের নিচে গুলিবিদ্ধ হন।