থাই প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন, কম্বোডিয়ার সঙ্গে এখনো কোনো যুদ্ধবিরতি হয়নি এবং তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টেলিফোনে জানিয়েছেন যে চলমান সংঘাতে থাইল্যান্ড “আক্রমণকারী নয়”।
আনুতিন বলেন, ট্রাম্প তাকে বলেছেন, জুলাইয়ে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, দুই দেশকে আবার সেখানে ফিরে যেতে হবে। তিনি আরো জানান, সংঘাত থামাতে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য শুল্ককে চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে—এমন কোনো ইঙ্গিত ট্রাম্প দেননি।
এর মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে প্রবল সীমান্তসংঘর্ষ পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে।
আনুতিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) যুদ্ধবিরতি চান। আমি তাকে বলেছি, আমাদের বন্ধুদেরও বলুন—শুধু যুদ্ধবিরতি বললেই হবে না; বিশ্বকে জানান যে কম্বোডিয়া গোলাগুলি বন্ধ করবে, সেনা সরিয়ে নেবে, তাদের পেতে রাখা সব মাইন অপসারণ করবে এবং প্রথমেই সবকিছু বন্ধ করার পদক্ষেপ দেখাবে।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এখনো কোনো যুদ্ধবিরতি নেই, লড়াই চলছেই।’
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তাদের ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বিতর্কিত সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে রকেট ও আর্টিলারি বিনিময় করছে।
ট্রাম্প আবারও হস্তক্ষেপে আগ্রহী, যাতে তিনি মধ্যস্থতা করে যুদ্ধবিরতি রক্ষা করতে পারেন। তিনি অক্টোবর মাসে মালয়েশিয়ায় আনুতিন ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে দেখা করেন, যেখানে তারা সম্প্রসারিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেন।
নিজেকে বহুবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য বলে দাবি করা ট্রাম্প বৃহস্পতিবার নিজেকে ‘বিশ্বশান্তির প্রতিষ্ঠাতা’ হিসেবে প্রশংসা করেন এবং বলেন যে তিনি আবারও যুদ্ধবিরতিকে ‘সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে’ পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী।
দুই দেশের হিসাব অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নিহত এবং ২৬০ জনের বেশি আহত হয়েছে। উভয় পক্ষই সংঘাত নতুন করে শুরুর জন্য অপর পক্ষকে দায়ী করছে।
ট্রাম্প কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গেও কথা বলেছেন কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
কম্বোডিয়া সরকারের মুখপাত্র পেন বোনা শুক্রবার আগে বলেছিলেন, হুন মানেত ও ট্রাম্পের মধ্যে কোনো আলাপসূচি নির্ধারিত আছে বলে তিনি জানেন না, তবে যোগ করেছেন, ‘স্বাভাবিকভাবে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবসময় কথা বলার জন্য প্রস্তুত।’
হুন মানেত গত আগস্টে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিলেন।