জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, বিগত ১৭ বছর আমরা আওয়ামী হায়নার বিরুদ্ধে একসঙ্গে সংগ্রাম করেছি।
কিন্তু আজ রামগতিতে এসে যা দেখলাম—এ জাতির দুর্ভাগ্য এখনো কাটেনি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে জালেম ও জুলুমের যে সংঘর্ষ ছিল, তা এখনো চলছে। আমরা যারা পুলিশি নির্যাতন, খুন ও গুমের স্বীকার হয়েছি, ৫ তারিখের পর জালিম পালিয়ে গেলেও জুলুম বন্ধ হয়নি। জালেমের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এখনো রয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করেছি। কিন্তু আজ রামগতিতে এসে দেখলাম, জালেমদের জুলুম এখনো রয়ে গেছে।
স্বপন বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন রামগতির সন্তান আ স ম আব্দুর রব। তার জন্মভূমিতে আজ যা ঘটছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আ স ম আব্দুর রবকে জাতীয় বীর আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আ স ম আব্দুর রব সারা জীবন জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি আগুনের মতো একজন বলিষ্ঠ নেতা। তার জীবনের সবটুকু সময় তিনি দেশের জন্য ব্যয় করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে বাঁচতে চায়। কিন্তু আজ রামগতিতে এসে দেখি, আমাদের সমাবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। জেএসডির অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে, ১০টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন—ইতিহাসের সেরা নির্বাচন দেবেন। কিন্তু রামগতিতে এসে দেখলাম তার উল্টো চিত্র।
স্বপন আরও বলেন, আ স ম আব্দুর রবের মতো জাতীয় নেতার জন্মভূমিতে হামলা–ভাঙচুর প্রমাণ করে নির্বাচন কেমন হতে যাচ্ছে। সারা দেশের নেতৃত্ব দেওয়া এই নেতার জন্মভূমিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে তানিয়া রবের তারা মার্কার বিজয় ঠেকানো যাবে না। তিনি সকলকে অনুরোধ করে বলেন, আ স ম আব্দুর রবের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে তারা মার্কায় ভোট দিন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি–কমলনগর) আসনে বিএনপি জোটের সম্ভাব্য প্রার্থী ও জেএসডির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তানিয়া রবের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রামগতি উপজেলা জেএসডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারজানা দিবা, রামগতি উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আ.বি. আব্দুল্লাহ, সহ-সভাপতি আবুল হাসনাত চৌধুরী মেহেদী, মীর গোলাম আজম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, পৌর জেএসডির সভাপতি জহিরুল ইসলাম নৌশাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, যুব পরিষদের নেতা হান্নান হাওলাদার, জামাল উদ্দিন মেম্বার, স্বেচ্ছাসেবক পরিষদের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।