এশিয়া ও ইউরোপের শেয়ারবাজারে উত্থানের কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের প্রতি চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। ফলে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম সামান্য হ্রাস পেয়েছে। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক ও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের আগে বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করায় বাজারে এই ধীর গতির প্রভাব পড়েছে। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টা ৪১ মিনিট জিএমটি পর্যন্ত স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় আউন্সপ্রতি ৪,১৯৯.০৬ ডলার। ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণ ফিউচারও ০.১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪,২২৯ ডলারে লেনদেন হয়।
অ্যাকটিভট্রেডস বিশ্লেষক রিকার্ডো এভানজেলিস্তা বলেন, ‘আগামীকাল প্রকাশিত হতে যাওয়া পিসিই মূল্যস্ফীতি সূচকের আগে স্বর্ণবাজারের ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন। শেয়ারবাজারে ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা বাড়ায় স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী গতি সীমিত হয়েছে।’
এদিকে রুপার বাজারেও মূল্যপতন দেখা গেছে। রুপার দাম ১.৭ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৫৭.৫ ডলারে নেমে এসেছে। যদিও বুধবার রুপার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৫৮.৯৮ ডলারে পৌঁছেছিল।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত রুপার দাম বেড়েছে ১০১ শতাংশ। বাজার থেকে তারল্য সরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে প্রবাহিত হওয়া, রুপাকে যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি খনিজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা—এসব কারণে রুপার বাজারে শক্তিশালী উত্থান দেখা যাচ্ছে।