ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং আচরণ বিধিতে আরেক দফা সংশোধনী আনতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার ইসি সচিব আখতার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গণভোটের কারণে আরপিও-তে আবার সংশোধনী আনতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উঠবে।
যে বিষয়ে সংশোধনী আনা হচ্ছে-
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর অনুচ্ছেদ ২৭-এ প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো হলো- পোস্টাল ব্যালটে প্রতীকের বিপরীতে ক্রস বা টিক চিহ্ন না দিলে তা গণনা করা হবে না। আদালতের রায়ে প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন এলে ওই আসনের জমা হওয়া পোস্টাল ব্যালটও গণনা করা হবে না। ঘোষণাপত্রে ভোটারের স্বাক্ষর না থাকলে পোস্টাল ব্যালট গণনায় নেবে না।
আচরণ বিধিমালার দফা ৪-এর উপ-বিধি (৩), বিধি ৬ এর উপ-বিধি (ক), (খ), (গ), (ঘ), বিধি ৯-এর উপ-বিধি (গ) এবং বিধি ২৬-এর উপ-বিধি (৩) এর মতো বিভিন্ন স্থানে ভাষাগত ও করণিক ভুল সংশোধন করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বিধিমালার ১৪(খ)-তে যে সংশোধনী প্রস্তাব রাখা হয়েছে-সংসদীয় আসনের প্রতি ইউনিয়ন বা পৌরসভা বা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড প্রতি একটি অথবা নির্বাচনী এলাকায় ২০টি (যা বেশি হয়)-এর অধিক বিলবোর্ড ব্যবহার করা যাবে না। এর ফলে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে বিলবোর্ডে প্রচারের সুযোগ তৈরি হবে। বিধি ১৭-এর উপবিধি (১) সংশোধন করে নির্বাচনী প্রচারে মাইক ব্যবহারের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হচ্ছে।
নতুন আরপিও অনুযায়ী, আদালত ঘোষিত ফেরারি আসামি ভোট করতে পারবে না-এমন বিধান যোগ হয়েছে এবার। দেড় দশক পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় যেমন সশস্ত্র বাহিনী ফিরেছে, তেমনই ‘না’ ভোট ব্যবস্থা এবার এসেছে একক প্রার্থীর আসনে।
এর বাইরে সমভোট পেলে হবে পুনভোট, জোটে করলেও ভোট নিজ দলের মার্কায় করার বিধানসহ বেশকিছু যুক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।