Image description

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ন্যায় অবসরকালীন সুবিধার দাবি জানিয়েছে পেনশন সমর্পণকারী গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা। তারা জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দাবি না মানা হলে সব জোনাল অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হবে।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে গ্রামীণ ব্যাংক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল আলম এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহবুবুল আলম বলেন, ২০০৪ সালের পরিপত্র ও প্রজ্ঞাপনের অনুযায়ী সরকারাধীন সকল ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বকেয়া বেনিফিটসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পর্যায়ক্রমে পেয়ে থাকেন। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের ১৫ হাজার কর্মী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অবসরে যাওয়ার পর এই মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।

তিনি বলেন, সরকারের যেকোনো প্রজ্ঞাপন গ্রামীণ ব্যাংকে সবার আগে বাস্তবায়ন করা হয়, কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সুবিধাসম্পন্ন ২০০৪, ২০১৬ ও ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন করা হয়নি। আন্দোলন ও সংগ্রামের চাপে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

আগামী ৭ দিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতি দাবি জানানো হয়। তারা বলেন, যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে দেশের প্রতিটি জোনাল অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন, সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে প্রতিটি জোনাল অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ড. মুহম্মদ ইউনূসের কুশপুত্তলিকা দাহের মাধ্যমে পাওনা আদায় করা হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মানস নন্দী, নারী নেত্রী সীমা দত্ত প্রমুখ।