Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য সর্ব মিত্র চাকমা বলেছেন, আমরা আরেকটি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস’ চাই না। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, অতীব দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পরিবর্তে নিরাপদ ও মানসম্মত নতুন ভবন নির্মাণ করতে হবে। বাজেট না থাকলে বা বরাদ্দে সংকট থাকলেও, ছেলেমেয়েদের ভর্তি করিয়ে প্রতিদিন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনো অধিকার কারও নেই। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভূমিকম্পের পর সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

পোস্টে সর্ব মিত্র বলেন, আজ আরেকটু এদিক-সেদিক হয়ে গেলে দেখতেন-হলের মাঠে সারি সারি লাশ, ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে যাওয়া ছেলেমেয়েদের নিস্তব্ধ নিথর দেহ, কারো কারো লাশ উদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ছেলেমেয়েদের বাবা-মা'র সামনে দাঁড়িয়ে কী জবাব দিতেন? সরি, বাজেট ছিল না?

তিনি আরও বলেন, স্রেফ নতুন ভবন নির্মাণই যথেষ্ট নয়। নতুন ভবন নির্মাণের পাশাপাশি নির্মাণকালে আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রেখে দুর্নীতিমুক্ত, ভূমিকম্প-অগ্নিদুর্যোগ-সহনশীল ভবন নির্মাণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সদ্য নির্মিত অনেক ভবনে আজকের ভূমিকম্পে ফাটল দেখা গেছে - এ ঘটনা প্রমাণ করে যে, এসব ভবন নির্মাণের সময় কতটা অবহেলা হয়েছে।

ডাকসুর এ সদস্য বলেন, সামনে যে নতুন হল ও ভবন নির্মাণ করা হবে, সেগুলোতে উন্নতমানের নির্মাণ উপকরণ ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা এবং আর্থিক খাতে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

শেষে তিনি বলেন, প্রশাসনের ওপর আবার প্রশাসনকেই যদি নজরদারি করতে হয়, এ রকম পরিস্থিতি বড় লজ্জা ছাড়া আর কিছু নয়। আজ ভূমিকম্পের তীব্রতা স্রেফ ভাবাচ্ছিল সলিমুল্লাহ হল, মুহসীন হলগুলোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মানুষগুলো ঠিক আছে তো? আজ হয়নি, কিন্তু কাল? বারবার বেঁচে ফেরা হয় না, ছেলেমেয়েদের জীবনের নিরাপত্তা চাই!