 
              বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আগেই গ্রাহকদের জানিয়েছিল, ৩০ অক্টোবরের পর কোনো জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ১০টির বেশি সিম সক্রিয় থাকলে অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। তাই শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধ সিম ব্যবহার, প্রতারণা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধের পাশাপাশি সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছ করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে সক্রিয় সিমের সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি ৬২ লাখ, কিন্তু প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে, ৬ থেকে ১০টি সিম ব্যবহার করেন ১৬ শতাংশ গ্রাহক, আর ১১টির বেশি সিম আছে মাত্র ৩ শতাংশের নামে। এই বৈষম্য কমাতে এবং সঠিক গ্রাহক শনাক্ত করতে বিটিআরসি এবার সীমা নির্ধারণ করেছে।
নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর বিটিআরসি নিজ উদ্যোগে অতিরিক্ত সিম বন্ধ করে দেবে। কমিশন জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে মোবাইল সেবা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরবে, অবৈধ সিম ব্যবহার হ্রাস পাবে এবং প্রতারণা বা অপরাধে ব্যবহৃত সিম শনাক্ত করা আরও সহজ হবে। বিটিআরসি গ্রাহকদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়ে বলেছে, নিজের নামে সক্রিয় সিমগুলো যাচাই করুন, প্রয়োজনীয়টা রাখুন, অতিরিক্তটা বাতিল করুন আজ রাতের পর আর সুযোগ থাকবে না।
গ্রাহকেরা চাইলে সহজেই জানতে পারবেন তাদের এনআইডিতে কয়টি সিম নিবন্ধিত আছে। এজন্য যে কোনও মোবাইল ফোন থেকে *16001# ডায়াল করে এনআইডির শেষ চারটি সংখ্যা পাঠালেই নিবন্ধিত সিমের তথ্য জানা যাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রাহকরা নিজেদের পছন্দমতো ১০টি সিম রেখে অতিরিক্ত সিমগুলো বাতিল করতে পারবেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে সিম ডি-রেজিস্টার বা মালিকানা পরিবর্তনের আবেদন করতে হবে।
শীর্ষনিউজ
 
       
                 
                
 
                                                  
                                                  
                                                  
                                                  
                                                 