Image description

বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘিরে 'মহাপরিকল্পনা' নিয়ে এগোচ্ছে ভারতও পশ্চিমা কয়েকটি দেশের কিছু রাজনীতিবিদ ও সংগঠন। ভারতের চাওয়া এই পার্বত্যাঞ্চল ও ত্রিপুরা নিয়ে 'গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড' গঠন আর পূর্ব তিমুরের মতো পৃথক রাষ্ট্র গঠনের তৎপরতা চালাচ্ছে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের কিছু এনজিও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক এবং কয়েকটি বাম রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের সহযোগী হয়ে কাজ করছেন। এমন বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি কার্যবিবরণীতে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিন পার্বত্য জেলাকে অস্থিতিশীল করার আরো চেষ্টা হবে বলে আশঙ্কা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের।


গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য ১০ পৃষ্ঠার কার্যবিবরণী প্রস্তুত করে। এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন ও ব্যক্তির নানামুখী অপতৎপরতা তুলে ধরে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ওই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও কার্যবিবরণীতে তুলে ধরা হয়েছে।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র আমার দেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আমার দেশকে জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষ করে পার্বত্যাঞ্চল ঘিরে অনেক ধরনের তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় দেশের সবগুলো গোয়েন্দা সংস্থা, বিশেষ করে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে পার্বত্যাঞ্চলের বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছে। অক্টোবর মাসের মধ্যেই সবগুলো সংস্থা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা কমিটির একটি বৈঠক হয়। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টা, সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশ নেন। ওই বৈঠকে এসব প্রতিবেদন ও পার্বত্যাঞ্চল ঘিরে দেশি-
Popup