
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.১০ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, এই রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি অর্থবছরে (২০২৫-২৬) দেশে আসা রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েই চলেছে। চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে ১৮৫ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২২ হাজার ৬৫২ কোটি ৯২ লাখ টাকার কিছু বেশি (১ ডলারে ১২২.২৫ টাকা ধরে)।
বুধবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান।
এদিকে মঙ্গলবার দেশে এসেছে ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯০৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা (১ ডলারে ১২২.২৫ টাকা ধরে)। এই পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় ৪০ লাখ ডলার বেশি।
মুখপাত্র বলেন, গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭১ কোটি ৪০ লাখ ডালার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ হাজার ৯৫৩ কোটি ৬৫ লাখ। অর্থাৎ চলতি বছরে ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে এক বছর ধরে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসেও প্রবাসীরা ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের মাসের চেয়ে সাড়ে ১৬ কোটি ডলার বেশি।
এ ছাড়া গত মার্চে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়। ওই মাসে ৩২৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল, যা এখন পর্যন্ত কোনো একক মাসে দেশে আসা সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। এরপর প্রবাসী আয় এক মাসে আর ৩০০ কোটি ডলার ছাড়ায়নি।
প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অর্থ পাচার কমে আসায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা কমে গেছে। এ ছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। এ জন্য বৈধ পথে আয় আসা বেড়েছে।