
আরমানিটোলায় খুন হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য মো:জোবায়েদ হোসেনের নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এসময় জানাজায় এলাকার মানুষের ঢল নামে।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬:৪৫ এর জোবায়েদ হোসেনের নিজ এলাকা কুমিল্লার হোমনা থানায় অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, মৃত জোবায়েদ হোসেনের জানাজায় মানুষের ঢল ছিলো। গ্রামের মানুষের মাঝে জোবায়েদ হোসেনের আলাদা গ্রহণযোগ্যতা ছিলো। জোবায়েদ অত্যন্ত ভদ্র ছেলে ছিলেন, এলাকার সবাই তাকে পছন্দ করতো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রায়হান হোসেন অপু দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, কিছুক্ষণ আগে সহযোদ্ধা -ছোটোভাইকে নিজ হাতে কবরস্থ করেছি। মনে হচ্ছে নিজের কলিজাটা ছিঁড়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারতেছিনা যে জোবায়েদ আমাদের মাঝে নেই। জোবায়াদকে এলাকার মানুষ খুব পছন্দ করতো। তার জানাজায় অনেক মানুষ এসেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, জোবায়েদের মৃত্যুতে মানসিক ভাবে খুব ভেঙে পেড়েছি। এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায়না। জোবায়েদ খুবই ভদ্র এবং মেধাবী ছেলে ছিলো। তার অকালে চলে যাওয়া আমাদের দলে শূন্যতা তৈরি করেছে। জোবায়েদ পরপারে সুখে থাকুক এটাই প্রত্যাশা।
এর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখে। রবিবার রাত ১১ টার দিকে ওই ছাত্রী বর্ষাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এর আগে রাত ১০ টা ৫০ এর সময় খুনের শিকার জোবাইদ হোসাইনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয় পুলিশ।
জানা যায়, জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সাথে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। গত এক বছর ধরে জোবায়েদ হোসাইন পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় ১৫, নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে ফিজিক্স কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন। ওই ছাত্রী বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন। এদিন আনুমানিক বিকাল ৪ টার ৩০ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় তিনি খুন হন।