
দুর্নীতির বিস্তৃত অভিযোগের মুখে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর এবং তার স্ত্রী সীমা রহমানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি শিখরের স্ত্রীর নামে থাকা একটি গাড়ি, একাধিক ব্যাংক হিসাব এবং সঞ্চয়পত্রের অর্থ জব্দ করেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি পূর্বাচল ও ঝিলমিল প্রকল্পের দুটি প্লটও জব্দ করা হয়েছে, যা শিখর অনৈতিকভাবে স্ত্রীর নামে বরাদ্দ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক সময়ের বিশেষ সহকারী এবং মাগুরার সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শিখর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এর বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগে শিখর এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে।
শুধু শিখর বা তার স্ত্রী নন, সীমা রহমানের বাবা, ভাই এবং মায়ের নামেও বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এমনকি তারা সবাই ঢাকার বাইরেও সম্পদ অর্জন করেছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে শিখর ও সীমা কলকাতার একটি অভিজাত এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়া আলোচিত ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির সময় শিখরের নাম গডফাদারদের তালিকায় উঠে এসেছিল। বিতর্কিত নারী পাপিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেও তার নাম প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ রয়েছে, শিখর এবং তার ভাইয়েরা রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে শিখর এবং তার পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে মাগুরার সাধারণ মানুষজন সাবেক এই সংসদ সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন। তারা শিখর পরিবারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছেন।