
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ব্যাগে ম্যাগাজিন পাওয়ার ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘অনেকে বলছেন তিনি (উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া) একে ৪৭-এর লাইসেন্স পেয়েছেন। এটা একে ৪৭ নয়। এটা তারই একটি হাতিয়ার। তার পিস্তলের খালি একটি ম্যাগাজিন ছিল, সেটি ভুলে রয়ে গিয়েছিল।’
বিমানবন্দরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার ম্যাগজিন ইস্যুতে ও তার অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন তিনি একে ৪৭ এর লাইসেন্স পেয়েছেন। এটা একে ৪৭ নয়। এটা তারই একটি হাতিয়ার। তার একটি পিস্তলের খালি ম্যাগাজিন ছিল। সেটি ভুলে রয়ে গিয়েছিল। এটা আসলে ভুলে হয়েছে। অনেক সময় এমন হয় যে- আপনি একটা চশমা নিয়ে যাবেন কিন্তু চশমা না নিয়ে মোবাইল নিয়ে রওনা হয়ে গেছেন। এটা জাস্ট একটা ভুল। উনি যদি আগে জানতে পারতেন তাহলে কোনও অবস্থাতেই এটা নিতেন না।’
বৈধ লাইসেন্স পেতে বয়স ত্রিশ বছর হওয়া লাগে। কিন্তু উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বয়স ত্রিশ হয়নি। তাহলে তিনি এটা কীভাবে পেলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু ওই আইনটা দেখিনি সেহেতু এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’
এয়ারপোর্টে ২ দফা স্কানিং করার পরও এটা ধরা পড়েনি। তৃতীয় দফায় গিয়ে এটি ধরা পড়েছে। এক্ষেত্রে এয়ারপোর্টের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে কী বলবেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা আমি অলরেডি বলেছি। ধরেন আমার ভাই একজন নেতা। উনি যখন ঢোকে তখন অন্যদের থেকে একটু প্রিভিলেস পায়। এই প্রিভিলেসটা যেন কারো ক্ষেত্রে না হয়। সবার জন্য যেন আইন সমান হয়।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আইনশৃঙ্খলার ওপর বিশেষ মিটিং হয়েছে। পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন পার্টির সামাজিক সংগঠনের অনেক অনুষ্ঠান থাকবে। এসব অনুষ্ঠান কীভাবে নির্বিঘ্নে হতে পারে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অনুষ্ঠানগুলো পুরো বাংলাদেশে হবে। এই অনুষ্ঠান ঘিরে কোনও ধরনের হুমকি নেই এখনও।’